• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৯, ০৯:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৩, ২০১৯, ১০:৩৭ এএম

ষড়যন্ত্রের জালে বিপন্ন রাজনীতি (চার)

ভুট্টো-কিসিঞ্জারের গ্রিন সিগন্যাল

ভুট্টো-কিসিঞ্জারের গ্রিন সিগন্যাল

আগেই বলেছি, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের বিদেশি শত্রুর তালিকায় ছিল তিনটি নাম। তাদের অন্যতম হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অন্য দুজন হলেন চিলির প্রেসিডেন্ট আলেন্দে ও ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট উয়েন ভান থিউ। যেকোনো উপায়ে এই তিনজনকে উৎখাত করাই ছিল কিসিঞ্জারের লক্ষ্য। কেননা এই তিনজন বরাবারই কিসিঞ্জারের পরিকল্পনা বানচাল করে দিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে আবার বঙ্গবন্ধুর ওপর কিসিঞ্জারের রাগটা ছিল একটু বেশি। এ কারণে যে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে চীন-মার্কিন সুসম্পর্কের সম্ভাবনাকে প্রায় অনিশ্চিত করে তুলেছিলেন। কেননা ওই সময় চীনের সঙ্গে মার্কিনদের সম্পর্কের দূতিয়ালির ভূমিকায় ছিল পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় এই দূতিয়ালির কাজে ভাটা পড়ে। তাই প্রতিশোধপরায়ণ কিসিঞ্জার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে উৎখাত করার নীলনকশা তৈরি করেন। কেননা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রেখে তাঁর সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব নয়, এ বিষয়ে হেনরি কিসিঞ্জার তথা পাক-মার্কিন ষড়যন্ত্রকারীদের মনে কোনো রকম সন্দেহ ছিল না। তাই তারা বিষয়টি মাথায় রেখেই নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। সারা দেশে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি এবং দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে তৈরি করা হয় ‘অ্যাকশন প্ল্যান’। তারা বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সাম্প্রদায়িকতা তথা ভারতবিরোধী অপপ্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই সারা দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে সংঘবদ্ধভাবে তৎপরতা শুরু করে।

হেনরি কিসিঞ্জার   - ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতির অন্যতম স্তম্ভ বলে ঘোষণা করেছিলেন, সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ করেছিলেন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু তাতে সাম্প্রদায়িকতা মরেনি। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি তাদের বিষভরা ফণা গুটিয়ে গর্তে ঢুকে ছিল। কেউ কেউ আবার রাতারাতি গায়ের জামা বদলে মুক্তিযোদ্ধাদের খাতায় নিজেদের নাম লিখিয়েছিল। অনেকে সাময়িকভাবে মুখ লুকিয়ে ছিল। কিন্তু তারা থেমে থাকেনি। ভেতরে ভেতরে সংঘবদ্ধ হচ্ছিল। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নানা প্রকার গুজব ছড়িয়ে এবং সাম্প্রদায়িক উসকানির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ধীরে ধীরে ম্লান করার চেষ্টা করে।

গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে অনেক সময় তুচ্ছ বিষয়কে উপলক্ষ করেও গুজব ছড়ানো হয়েছে। একটা দৃষ্টান্ত এখানে দিই। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৩ সালে, রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারে। একটি তামাকের দোকানের হিন্দু মালিক তামাক বিক্রির সময় পুরনো কাগজকে মোড়ক হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। ওই কাগজে কী ছাপা ছিল, সেটা তার জানার কথা নয়। কেননা লেখাগুলো ছাপানো ছিল আরবি হরফে। সঙ্গে সঙ্গে চক্রান্তকারীরা চারদিকে রটিয়ে দেয়, পবিত্র কোরআনের পাতা ছিঁড়ে ওই হিন্দু দোকানদার তামাক মুড়ে দিচ্ছেন। আর যায় কোথায়, হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এসে দোকানটি ঘিরে ফেলে। ভয়ে দোকানি পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। পরে দেখা যায়, যে কাগজে ওই দোকানি তামাক মুড়ে দিচ্ছিলেন, সেটা পবিত্র কোরআনের ছেঁড়া পাতা নয়, কোনো একটি আরবি ম্যাগাজিনের পাতা। অথচ চক্রান্তকারীরা সেই ম্যাগাজিনের পাতাকেই কোরআনের পাতা বলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করেছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা এভাবে বাংলাদেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ধর্মবোধে সুড়সুড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে। সুযোগ পেলেই সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে একই ধরনের রটনা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে বারবার ঠিক একই ধরনের গুজব ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনমতকে বিভ্রান্ত করার এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর চেষ্টা নিরন্তর চলছেই।

প্রগতিশীলতার মোড়কে সাম্প্রদায়িকতা

শুধু রটনা কিংবা গুজব নয়, প্রগতিশীলতার মোড়কেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ছিল সুপরিকল্পিত ও সুসংগঠিত প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ঢাকার রাজপথে এই সংঘবদ্ধ সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রথম প্রকাশ ঘটে। এর কেন্দ্রে ছিল একটি কবিতা। ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ শিরোনামের এই আলোচিত কবিতাটি প্রকাশ হয় ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক সংবাদ’ পত্রিকায়। লেখক তৎকালীন তরুণ কবি দাউদ হায়দার। তিনি মাওবাদী কমিউনিস্ট ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। সেই উগ্র কমিউনিস্ট মতবাদের ঝাঁজও ছিল ওই কবিতায়। দাউদ হায়দার তাঁর ওই কবিতায় যিশু, বুদ্ধ এবং হজরত মুহাম্মদের (সা.) বিরুদ্ধে আপত্তিকর কিছু কথা বলেছিলেন। এর ফলে কট্টর ইসলামি সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা দলে দলে ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে আসে। তাদের একটাই দাবি, ‘দাউদ হায়দারের মাথা চাই’। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি উপলব্ধি করেন এবং দাউদ হায়দারকে ভারতে পাঠিয়ে দিয়ে অবস্থা সাময়িকভাবে সামাল দেন। আর কবিতাটি প্রকাশের জন্য দৈনিক সংবাদ পত্রিকার কর্তৃপক্ষ জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ ঘটনায় তখন সহজেই  অনেকের মনে প্রশ্ন ওঠে, দেশে যখন মৌলবাদীরা নতুন করে জোট বাঁধার চেষ্টা করছে, তখন দাউদ হায়দার হঠাৎ কেন এ ধরনের একটি কবিতা প্রকাশ করতে গেলেন? দীর্ঘ চার দশক পরও এই প্রশ্নটি আজও অনেকের মনে প্রশ্ন হয়েই আছে। এখনো এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। নিশ্চয় প্রবাস জীবনযাপনকারী দাউদ হায়দার আত্মবিশ্লেষণে এই বিষয়টি জানাবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলাপরত জুলফিকার আলী ভুট্টো   - ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধুর ভদ্রতার সুযোগ নেন ভুট্টো

১৯৭৪-এর ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে ওআইসির দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে ঘোষণা দেন, পাকিস্তান আগে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে তিনি লাহোরে যেতে পারেন না, যাবেন না। প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর ওপর ওআইসিভুক্ত দেশগুলো থেকেও প্রচণ্ড চাপ পড়ে। ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ভুট্টো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর কয়েকজন ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে তাদের প্লেনে করেই লাহোরে নিয়ে যান। এটাও ছিল ভুট্টো-কিসিঞ্জারের গোপন সমঝোতার একটি অংশ। তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা তাঁকে বিরত করার চেষ্টা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে লাহোর বিমানবন্দরে যথাযথ অভ্যর্থনা জানানো হয়, মর্যাদা ও গুরুত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। তবুও আওয়ামী লীগের একাংশের আপত্তি অগ্রাহ্য করে বঙ্গবন্ধু বিশ্ব ইসলামি সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে যান। বঙ্গবন্ধু নেহাত ভদ্রতার খাতিরে ভুট্টোকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানালে সঙ্গে সঙ্গে তিনি তা গ্রহণ করেন। কেননা জুলফিকার আলী ভুট্টো এমন সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন। অবশ্য বঙ্গবন্ধুও তখন বুঝতে পেরেছিলেন, ভুট্টোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোটা ঠিক হয়নি। কেননা দেশে তখন ষড়যন্ত্রকারীরা খুবই তৎপর। এ অবস্থায় ভুট্টোর উপস্থিতি তাদের তৎপরতায় আরো উৎসাহ জোগাবে। তবুও বঙ্গবন্ধু আমন্ত্রণ ফিরিয়ে নেননি। তবে জুলফিকার আলী ভুট্টো যাতে ঢাকায় ভালো অভ্যর্থনা না পান, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভুট্টোর আগমনকে সামনে রেখে ওই সময় দেশের সংবাদপত্রগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারদের নির্মম অত্যাচারের ছবি প্রকাশ করা হয়। এসব ছবি প্রকাশের খবর জুলফিকার আলী ভুট্টো জানতেন। ভুট্টো বুঝেছিলেন, সৌজন্য রক্ষার খাতিরে বঙ্গবন্ধু তাকে দাওয়াত দিলেও তিনি নিজেও চান না যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে যান। কিন্তু চক্রান্তকারী ভুট্টো এসব আমলেই নেননি। বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে তার মনোভাব ছিল অত্যন্ত দৃঢ়। বাংলাদেশ সরকার যা ভাবুক, যা করুক না কেন তাতে তার কিছু এসে যায় না। সুযোগ যখন কোনোভাবে একবার পেয়েছেন, এই সুযোগ তিনি কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে রাজি হননি।

মোশতাককে ভুট্টোর গ্রিন সিগন্যাল

১৯৭৪ সালের ২৭ জুন ভুট্টো ঢাকায় আসেন। ভুট্টোকে স্বাগত জানাতে সেদিন ঢাকার তেজগাঁও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রচণ্ড ভিড়। ফলে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। ভুট্টো এতে বুঝেছিলেন, পাকিস্তানের এজেন্টরা স্বাধীন বাংলাদেশে বেশ ভালোভাবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তা না হলে যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মাত্র বছর তিনেক আগে তিরিশ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা, তিন লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছিল, তাদের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এত লোক হতো না। ভুট্টোর ঢাকা সফরের সময় তার সঙ্গে এসেছিলেন পাকিস্তানি গোয়েন্দা দফতরের কয়েকজন দক্ষ অফিসার। ঢাকায় এসে তারা বাংলাদেশে তাদের এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এমনকী ওই সফরে জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে খন্দকার মোশতাক আহমদের সঙ্গেও নাকি ভুট্টোর মতবিনিময় হয়। ওই সময় ভুট্টো খন্দকার মোশতাককে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে যান।

কিসিঞ্জারের নির্দেশে পাক-মার্কিন চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি

জুলফিকার আলী ভুট্টোর বাংলাদেশ সফরের পর বঙ্গবন্ধু হত্যা চক্রান্তের অংশ হিসেবে ওই বছরেরই ৩০ অক্টোবর ঢাকা সফরে আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। ঢাকায় তিনি ছিলেন সর্বসাকল্যে মাত্র ৮ ঘণ্টা। সাংবাদিকরা কিসিঞ্জারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বঙ্গভবনের বাইরে। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মাত্র কয়েক মিনিট কথা বলেন। তারপর তিনি সরাসরি নিজের গাড়িতে গিয়ে ওঠেন। অন্যদিকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধুবিরোধী চক্র তখন অত্যন্ত তৎপর। বঙ্গবন্ধু তার সরকারে স্থান দিয়েছেন খন্দকার মোশতাক ও তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে। মোশতাক ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী আর তাহের উদ্দিন ঠাকুর ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদে তাদের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন ছিল বাইরের পোশাকের মতো। লোক দেখানোর জন্য। ভেতরে ভেতরে তারা তৎপর ছিলেন সরকার উৎখাতের চক্রান্তে।

কিসিঞ্জার ওই সময় ঢাকায় এসে লক্ষ করেন, তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘অ্যাকশন’-এর পটভূমি পুরোপুরি তৈরি। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা জাহান্নামে গেছে, উগ্র সাম্প্রদায়িকতার কালসাপগুলো মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। দুর্ভিক্ষ ও বন্যা ছড়িয়ে দিয়েছে সর্বগ্রাসী গ্রাম। মানুষ মরছে অনাহারে, অর্ধাহারে রোগব্যাধিতে। সারা দেশে বঙ্গবন্ধুবিরোধী ক্ষোভ ধূমায়িত করার অপচেষ্টা আংশিক সফলও হচ্ছে। কাজেই এই সময়টাকেই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে উৎখাতের উপযুক্ত সময় বলে মনে করে। তাই কিসিঞ্জার ওই সময়ই জুলফিকার আলী ভুট্টোর মতোই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়ে যান। ফলে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়নে পাক-মার্কিন চক্রান্তকারী শিবিরে শুরু হয় আরো জোর কর্মতৎপরতা।

[ পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে আগামী ১৮ আগস্ট ]

আরও পড়ুন