• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৬:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৬:৫৪ পিএম

গর্ভকালীন সময়ে কখন কতটুকু কলিজা খাওয়া নিরাপদ

গর্ভকালীন সময়ে কখন কতটুকু কলিজা খাওয়া নিরাপদ

মেয়েদের জন্য কলিজা বা লিভার নিঃসন্দেহে একটি পুষ্টিকর খাবার। বিশেষ করে যেসব মেয়েদের শরীরে আয়রন এবং ভিটামিন-এ এর অভাব রয়েছে তাদের জন্য কলিজা একটি উৎকৃষ্ট খাবার।এই কারনে,অনেক মায়েরা গর্ভকালীন সময়ে অধিক পুষ্টি পেতে ঘন ঘন বা অতিরিক্ত পরিমাণে কলিজা খেয়ে থাকেন। যা,গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কলিজা কেন ভ্রুনের ক্ষতির কারণ হতে পারে


 
লিভার বা কলিজাতে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-এ বা রেটিনল থাকে। যা,শিশুর বার্থ ডিফেক্টসের কারণ হতে পারে। মাত্র এক সারভিং,কলিজাতে প্রতিদিনের ভিটামিন-এ এর চাহিদার ৩ গুন বেশি ভিটামিন থাকে। এই,অতিরিক্ত ভিটামিন মায়ের দেহে টক্সিসিটি তৈরি করতে পারে যা ভ্রুনের জন্য বিপদজনক। বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে যখন শিশুর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো তৈরি হয়।  সেজন্য, যেকোন ধরণের কলিজা সেটা মুরগী,গরু,খাসি বা মাছের কলিজা হোক না কেন সাবধান থাকতে হবে। 

কখন কলিজা খাওয়া বেশি ক্ষতিকর


 
গর্ভবস্থার প্রথম ৩ মাস কলিজা না খাওয়া উচিত নয়।প্রথম তিন মাসে যখন ভ্রুনের অঙ্গগুলি গঠিত হয় তখন অতিরিক্ত ভিটামিন-এ এর কারণে জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। শিশু,এক বা একাধিক জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে।


কখন থেকে খাওয়া যেতে পারে


 

- তিন মাস পূর্ন হয়ে যাবার পর,সম্পূর্ন সুস্থ মায়েরা মাসে ২ বার,৭৫ গ্রাম করে কলিজ খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে,মুরগীর কলিজা হলে সবচেয়ে ভাল হয়।কেননা,গরু,খাসির কলিজার     তুলনায় মুরগীর কলিজায় রেটিনলের পরিমাণ কম। ফলে,ক্ষতি হবার সম্ভাবনা ও কম।

- যেসব,মায়েরা অত্যধিক অপুষ্টিতে ভুগছেন,তারা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ সাপেক্ষে প্রথম তিন মাস পুর্ন হয়ে যাবার পর,প্রতি সপ্তাহে ৭৫ গ্রাম করে কলিজা খেতে পারেন। যা,তাদের ভিটামিন-এ এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আয়রনে এবং অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করবে।

- যেকোন প্রাণীর লিভার সেটা পশুর বা মাছের হোক না কেন উচ্চ পরিমাণে রেটিনল থাকে। রেটিনল একটি টেরাটোজনিক উপাদান যা মা বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ভ্রুনের ক্ষতির আশংকা থাকে।

সুতরাং, গর্ভাবস্থায় যেকোন ধরণের কলিজা গ্রহণের ব্যাপারে মায়েদের সাবধান থাকা উচিত।


লেখক : পুষ্টিবিদ, বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড