• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৩, ১২:৫৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৪, ২০২৩, ১২:৫৯ এএম

সবাইকে স্বাগত জানানো হয় যে গ্রামে

সবাইকে স্বাগত জানানো হয় যে গ্রামে
ছবি ● সংগৃহীত

বিশ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাসিন্দা টনি অ্যান্ডারসন স্নোবোর্ডে করে হাকুবাতে এসেছিলেন। তিনি এতই মুগ্ধ হন যে এরপর নাগানো থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পশ্চিমে জাপানি আল্পসে অবস্থিত গ্রামটিতে আবার ফিরে যান। এই গ্রামে তিনি জমি কিনে বসবাস শুরু করেন।

হোটেল ব্যবসায়ী অ্যান্ডারসন বলেন, হাকুবার আতিথেয়তার সংস্কৃতি অসাধারণ। তারা সকল পর্যটককে স্বাগত জানায়। অ্যান্ডারসন জানান, তিন যখন পর্যটক হিসাবে এখানে ভ্রমণ করেছিলেন, তখন তিনি হোটেলগুলোতে দেখতে যান যে কীভাবে এখানের হোটেলে বুকিং করতে হয়।

তিনি দেখলেন, তাকে দূরে পাঠানোর পরিবর্তে, হোটেলকর্মীরা তাকে হলওয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো। তিনি বলেন, তাদের নীতি কখনোই কাউকে বিমুখ করা নয়। সবাইকে স্বাগত জানায় তারা।

আতিথেয়তার এই ঐতিহ্যটি সম্ভবত ব্যবহারিক কারণেও বিকশিত হয়েছে। যখন তুষারের সময় আসে, তখন কখনও কখনও রাস্তায় চলাচলে এত সমস্যা হয়, কেউ চােইলেও চলে যেতে পারবেন না। সেই সময়েও পর্যটকরা হাবুকাতে আরামে থাকতে পারেন।  হাকুবা ১০টি ভিন্ন ভিন্ন স্কি রিসোর্ট দ্বারা বেষ্টিত।

১৯৯৮ সালে নাগানো শীতকালীন অলিম্পিকের অনেক ইভেন্টের আয়োজন করেছিলেন। বসন্তে যখন চেরি ফুল ফোটে, তখনও পাহাড়ে স্কি করার জন্য যথেষ্ট তুষার থাকে এখানে।

যদিও হাকুবা শীতকালের জন্য বিখ্যাত, তবে এই গ্রাম সারাবছর ঘুরে দেখার মতো। অ্যান্ডারসন জানান, গ্রীষ্মে তিনি এখানের পাহাড়ে হাইকিং করতে পছন্দ করেন। শরৎকালে, এটি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় যারা শরতের পাতা দেখতে ভালোবাসেন। এবং হাকুবার বসন্ত - ঋতুও জনপ্রিয়।

অ্যান্ডারসন বলেন, এমন কোনও দিন নেই যেখানে আমি পাহাড়ের দিকে তাকাই না এবং সত্যিই এই জায়গাটি কতটা সুন্দর তার প্রশংসা করি।

জাগরণ/বিচিত্র/এমএ