• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২১, ১২:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৭, ২০২১, ১২:০২ পিএম

গরমে ঘরকে আরামদায়ক করে সাজিয়ে নিন

গরমে ঘরকে আরামদায়ক করে সাজিয়ে নিন

শীত শেষে যখন গ্রীষ্মকাল আসে তখনই জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তনও আসে। পরিবারের সবার যত্ন, নিজের রূপচর্চা, পোশাকের ধারাও পাল্টে যায়। সেই সঙ্গে ঘরকেও অবহেলা করা যায় না। বরং বিশেষ নজর দিতে হয়। বলা যায়, গরমে আরামদায়ক ঘরের জন্য় একটু সাজিয়ে-গুছিয়ে নিতে হয়। 

নিজের প্রিয় ঘরকে আরামদায়ক করে সাজিয়ে তুলুন। কেননা দিনের বেশি সময়টা এখনেই পার করছেন। তাই চোখের আরাম ও মন ভালো রাখতে ঘরকে সাজিয়ে তুলুন মনের মতো করে।

  • ঘর রং করা হয় না অনেক দিন। এই সুযোগে রং করে নিন। গরমে হালকা রং বেশি আরামদায়ক। সাদা, হালকা নীল বা হালকা ল্যাভেন্ডার রং করে নিতে পারেন। হালকা রং ঘরের পরিবেশ মনোরম রাখে।
  • প্যাস্টেল কালার বা ফ্লোরাল প্রিন্ট গরমকালে বেশ নজর কাড়ে। ঘরের চাদর বা সোফার কুশনের ক্ষেত্রে হালকা ফ্রেবরিকের কাজ বা হালকা পেইন্ট করা ডিজাইন ব্যবহার করুন।
  • গরমে হালকা পর্দা ব্যবহার করুন। যেন ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসতে পারে। 
  • ঘরের ফার্নিচারের ধূলাবালি নিয়মিত পরিস্কার করুন। গরমে জানালা খোলা থাকায় খুব ধূলা হয়। তাই প্রয়োজনে  দুই বেলা ফার্নিচারের ধূলা পরিস্কার করুন। 
  • শীতকালে অনেকেই ঘরের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করেন। এতে ঠান্ডা কমে। কিন্তু গরমে কিন্তু এটি ঘরের গরম বাড়িয়ে দিবে। তাই গরমে কার্পেট ব্যবহার না করে ঘরের ঠান্ডা মেঝেতে হাঁটুন। দেখবেন আরাম পাবেন। লাগবে।
  • ঘরের আসবাবপত্রগুলো একটু এদিক ওদিক ঘুরিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। এমনভাবে সাজান যেন রোদের আলো পর্যাপ্ত পাওয়া যায়। তবে গরমও যেন কম লাগে সেদিকেও নজর দিতে হবে। 
  • ঘরের জন্য ছোটো চেয়ার, ফ্লোর কুশন বা ডে বেডস বসার উপযুক্ত আসবাব জানালার কাছে রাখা যেতে পারে।
  • ছোটরা এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই থাকছে। তাদের জন্য ঘরের মধ্যেই আলাদা জায়গা তৈরি করুন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খেলনা দিয়ে সাজিয়ে দিন। ঘরের তুলনামূলক ঠান্ডা স্থানে এর ব্যবস্থা করে দিন।
  • শোয়ার ঘর বা বসার ঘরে ছোট ছোট গাছ লাগান। যা সতেজভাব বজায় রাখবে। পর্যাপ্ত অক্সিজেনও পাবেন।
  • বাড়ির ব্যালকনিতে জায়গা থাকলে দোলনা বসাতে পারেন। বই পড়া, গান শোনা, পরিবারের সঙ্গে অবসর সময় কাটানোর সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হবে এটি।