• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২১, ০১:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৩, ২০২১, ১০:৫১ পিএম

ঈদের ঈদি

ঈদের ঈদি

ঈদুল ফিতরের উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে ঈদি বা সালামি। ঈদের নামাজ পরেই বড়দের কোলাকুলি আর ছোটদের ঈদি দেওয়ার প্রথা ঈদ উৎসবের মূল আকর্ষণ। সালামি দেওয়া-নেওয়ার মধ্যেই কেটে যায় ঈদের দিনটি।

ঈদি বা সালামি কী? এটা তো সবারই জানা। ঈদ বা বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছোটরা বড়দের পায়ে স্পর্শ করে  সালাম করে। বড়রা ছোটদের কিছু টাকা উপহার দেন। একেই বলে ঈদি বা সালামি।

ঈদি মানে নতুন টাকা। টাকার নতুন নোটগুলো জমিয়ে রাখেন অনেকে। ছোটদের উপহার হিসেবে তা দেওয়া হয়। যদিও এখন ব্য়াংকগুলো ঈদ উপলক্ষে নতুন টাকা বাজারে ছাড়েন। চাইলে ব্যাংক থেকেই নতুন নোটগুলো নেওয়া যায়। যা ঈদের সালামি হিসেবে দিতে পারেন।

ছোটবেলা থেকে বড়বেলা, ঈদ সালামির প্রথার কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। বরং এতে আরও নতুনত্ব জুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়ে গেছে সালামির অঙ্কটাও। যত বয়স বাড়বে তত সালামির অঙ্কটাও কমতে থাকে। কেননা তার ছোটদের সংখ্যা বেড়ে যায়, তাদের সালামি দিতে হয়। এভাবেই ঈদি আদান প্রদানেই কেটে যায় পুরো দিন।

ঈদের সালামি দেওয়া নেওয়ায় এখন কিছুটা পাল্টে গেছে। একসময় ছিল সালামি দেওয়া হতো শুধু ছোট শিশুদের। কিন্তু এখন বয়সে বড় কিংবা সম্পর্কে বড় হলেই সালামি দিতে হয়। 

সত্তর আশির দশকে বড়রা সালামি দিতেন দুই টাকা করে। বড়দের দেওয়া ঈদের সালামি জমিয়ে ঈদের সারাদিন বাইরে খাওয়া দাওয়া আর ঘুড়ে বেড়ানো হতো। ওতেই শেষ হয়ে যেত সালামি। কিন্তু বর্তমান যুগে সালামি বা ঈদি দেওয়া-নেওয়াটা ফর্মালিটির মতো হয়ে গেছে। ঈদে নতুন ড্রেসের-বাজারের মতো এখন সালামির বাজেটটাও আলাদা করে রাখতে হয়।

শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমেও সালামি আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। লকডাউনে কারও বাসায় বেড়াতে যেতে মানা, তাই বলে সালামি কিন্তু মিস হবে না। ঘরে বসেই সালামি পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর বিপরীত আকর্ষণীয় অফারও দিয়েছে।

সালামির প্রথা এখন শুধু পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেক অফিসেও এখন সালামি দেওয়া নেওয়া হচ্ছে। অফিসের বস কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তাদের ছোট সহকর্মীদের ঈদ সালামি উপহার দিচ্ছেন। যা নিতান্তই আনন্দের ও আন্তরিকতা। এভাবেই ঈদ উৎসবের আনন্দকে ভাগাভাগি নেয় সবাই।