• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২১, ০৯:২২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৯, ২০২১, ০৫:৩২ পিএম

রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন

রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন

রাগ এমন একটি আবেগ, যা কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশিত হয়।কখনো কখনো কঠিন সমস্যার সমাধান খুঁজে না পেলেও রাগ বা ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু অতিরিক্ত রাগ পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে দিতে পারে। তাই ঘন ঘন রাগ হওয়া এবং অতিরিক্ত রেগে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

রাগান্বিত হওয়া, খুশি হওয়া বা অন্য আবেগ প্রকাশের মতোই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে এটি আপনার ক্ষতি করতে পারে। অতএব দক্ষতার সঙ্গে এটি পরিচালনা করুন। আপনি রেগে গেলে কীভাবে শান্ত হবেন কিংবা কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবেন, এর জন্য় কিছু উপায় অবলম্বন করে সমাধান পাওয়া সম্ভব। 

গভীর শ্বাস নিন

যখন কোনো পরিস্থিতিতে রেগে যাচ্ছেন বলে টের পাচ্ছেন, তখনই দীর্ঘ শ্বাস নিন। গভীর শ্বাস গ্রহণ আপনার পেশিগুলোকে শিথিল করতে সহায়তা করবে। আপনার স্নায়ু শান্ত করে।

হাঁটুন

হাঁটতে শুরু করুন। হাঁটলে রাগ নিয়ন্ত্রণে সহজ হবে। এটি কেবল আপনার সব পেশি শিথিল করে না, আপনাকে শান্ত হতেও সহায়তা করে। রাগ ভেঙে যায়। আবার সব ঠিক করার জন্য় নতুনভাবে চিন্তা করতে সহায়তা করে।

নিজেকে শান্ত করুন

যখন কোনো বিষয়ে আপনার মন উদ্বেগজনক চিন্তায় জড়িয়ে পড়ে এবং আপনার করার মতো কিছুই না থাকে তখন রাগান্বিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওই সময়টা নিজেকে প্রশান্ত করতে একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। রিলাক্স হয়ে কোথাও বসুন, শান্ত হয়ে ভাবুন, এরপর করণীয় ঠিক করুন।


গান শুনুন

নিজেকে শান্ত করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো গান শোনা। পছন্দের গান শুনুন। মুহূর্তেই রাগ কমে যাবে। গান আপনাকে শিথিল করবে। যে বিষয়টি নিয়ে রেগে ছিলেন, তা থেকে বেরিয়ে আসতে সহযোগিতা করবেন।


পেশি প্রসারিত করুন

রাগান্বিত হলে আপনার পেশি শক্ত হয়ে যায়, যা আপনাকে আক্রমণাত্মক হতে ট্রিগার করতে পারে। এই সময় পেশি স্বাভাবিক করতে প্রসারিত করুন এবং শিথিল ব্যায়াম করুন।

কিছুটা সময় কাটান

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় দিন। সবেমাত্র লড়াই হয়েছে? সেখান থেকে সরে যান। একটি ঘরে একাকী চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন। কিছুক্ষণ পর রাগ কমে যাবে। 

ডায়েরিতে লিখুন

আপনি যখন কারও ওপর রাগ হন বা ক্ষিপ্ত হন, তাকে কিছু বলতে না পারলেও ডায়েরিতে নিজের কথাগুলো লিখুন। এটি আপনার অনুভূতি এবং আবেগগুলো থেকে মানসিক বোঝা এবং চাপ দূর করবে।

ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন

আপনার যদি কোনো বিশ্বস্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে তবে আপনি তাকে তাৎক্ষণিক অনুভূতি প্রকাশ করুন। আপনার ভেতরের সব রাগের কথা, আপনি কেমন বোধ করছেন সে সম্পর্কে বন্ধুর সঙ্গে ভাগ করে নিন। এটি আপনার রাগ প্রতিরোধে সর্বদা সহায়ক উপায়।

ইতিবাচক ভাবুন

প্রতিটি মুদ্রার দুটি দিক থাকে। আপনি যখন কোনো কিছুতে রাগান্বিত হবেন তখন এর থেকে অন্য বিবরণটাও ভেবে দেখুন। একটি ভুল-বোঝাবুঝি সর্বদা দুর্দান্ত আগ্রাসনের দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং অবিলম্বে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন না। ইতিবাচক ভাবুন, দেখবেন সহজ হবে।


সহানুভূতিশীল হোন

সহানুভূতিশীল থাকার চেষ্টা করুন। যার ওপর রাগ উঠেছে তার প্রতি সহনশীল হোন। যদিও সে আপনাকে অকল্পনীয় পর্যায়ে হতাশ করেছে, তবু আপনি নিজেই পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করুন।


রাগ চেপে রাখবেন না
 

রাগ চেপে না রেখে বরং তা প্রকাশ করুন। রাগ পুষে রাখলে নিজেই বিব্রত হবেন। একদিকেই ভাবতে থাকলে রাগ আরও বাড়বে। তাই রাগ চেপে না রেখে ক্ষমা করতে শিখুন। নিজের ব্যবহার ঠিক রেখে অন্যকে নিজের কথাগুলো ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন। অনেক সময় রাগান্বিত অবস্থায় একে অন্যের যুক্তিযুক্ত কথাও মানতে রাজি নই আমরা। তাই নিজের ভাবনাগুলো বুঝিয়ে বলুন।

সতর্ক হোন

রাগান্বিত হয়ে অনেকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। অনেকে আবার কারও সঙ্গে মারামারিও করেন। এটা মোটেও উচিত হয়। পরিস্থিতি সমালে নিতে কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ুন।