স্কুল-কলেজজীবন কাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিচ্ছেন। নতুন জীবনধারার সূচনা হচ্ছে। ছাত্রজীবনের উল্টো এই কর্মজীবন। নতুন অফিসে যোগ দিয়েছেন। কাজের জায়গায় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। কীভাবে চলবেন, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কটা কেমন হবে, কীভাবে পরিস্থিত সামলে নেবেন, মানসিক চাপগুলোকে কাটিয়ে কীভাবে কাজের গতি ঠিক রাখবেন- এমন অনেক বিষয়েই খেয়াল রাখতে হয়।
কর্মক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো করা উচিত বা মোটেও করা উচিত নয়, তা জানাব আজকের আয়োজনে।_
সমালোচনা থেকে দূরে থাকুন
যেখানেই কাজ করুন না কেন, গসিপ বা সমালোচনা হবেই। অফিসের বস বা সহকর্মীদের নিয়ে সমালোচনা হয়, যা মোটেও উচিত নয়। গসিপ থেকে দূরে থাকা কষ্টকর হলেও চেষ্টা করুন কারও সম্পর্কে সমালোচনা না করার। হয়তো বা কখনো আপনিও অন্যের গসিপের অংশ হয়ে যাচ্ছেন, নিজেও বুঝবেন না। ভাগ্য খারাপ হলে গসিপ বা সমালোচনার জেরে চাকরি নিয়েও টানাটানি পড়ে যেতে পারে।
সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক বুঝে কথা বলুন
কাকে, কীভাবে, কী বলা উচিত বা কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়, তা আগে বুঝে নিন। কর্মক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট সীমা থাকে। তা মাথায় রাখা জরুরি। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বুঝেই কথা বলুন।
ধর্ম নিয়ে আলাপ একেবারেই নয়
ধর্মের বিষয়ে অনেকেই অত্যন্ত সেনসিটিভ। কাজের জায়গায় বা অন্য কোথাও ধর্ম নিয়ে বিতর্কে জড়াবেন না। আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে। নেতিবাচক মতামত প্রকাশ করবেন না। আপনার অজান্তেই কেউ আঘাত পেতে পারেন।
রাজনীতিকে অফিসের বাইরে রাখুন
রাজনীতি নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো। রাজনীতিকে যথাসম্ভব অফিসের বাইরেই রাখুন। কেউ কেউ রাজনৈতিক দলের অন্ধ সমর্থক হতে পারেন। তাদের সঙ্গে ভুলে বিতর্কে জড়াবেন না। মনে রাখবেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ সবার কাছে এক নয়।
পারিবারিক আলোচনা না করাই উত্তম
পারিবারিক সমস্যা বা পারিবারের কারও সম্পর্কে অফিস আলোচনা না করাই ভালো। কাজের জায়গায় পরিবারকে নিয়ে আলোচনা করলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সহকর্মীরা সবাই একরকম হয় না। অনেকের কাছে আপনার সমস্যাগুলো হাস্যকর মনে হতে পারে। এমনকি আপনার পারিবারিক সমস্যাগুলোর জন্য কাজের জায়গায় আপনি গসিপের বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারেন।
গোপনীয়তা বজায় রাখুন
আপনার ও আপনার সঙ্গী সম্পর্ক কেমন, তা সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এই সম্পর্ক একান্তই ব্যক্তিগত। এছাড়া এই ধরনের আলোচনায় সহকর্মীর মন্তব্যে আপনিও বিব্রত হতে পারেন।
আর্থিক সমস্যার কথা জানাবেন না
আপনার আর্থিক সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু এ বিষয়ে কর্মক্ষেত্রে আলাপ না করাই ভালো। আর্থিক সমস্যা নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা ভাবতে পারে যে আপনি অর্থ পরিচালনার ক্ষেত্রে অযোগ্য।
প্রতিবাদ করার আগে ভাবুন
সেনসিটিভ ও ইমোশনাল বিষয় নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে প্রতিবাদে জড়াবেন না। এতে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। যা কাজের জন্যও নেতিবাচক।
অফিসের প্রতি বিশ্বস্ততা
অফিসের প্রতি নিজের বিশ্বস্ততার জায়গাটা স্বচ্ছ রাখবেন। অফিসের যেকোনো গোপনীয়তা রক্ষা করা, কাজের অগ্রগতিতে সমানভাবে অংশগ্রহণসহ বেশ কিছু বিষয়ে সক্রিম হবেন। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্বে অবহেলা করবেন না। অফিস কিংবা পরিবার যেকোনো জায়গায় নিজের স্থানটা নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়।
অফিসের নিয়মগুলো মেনে চলুন
প্রতিটি অফিসেই কিছু নিয়ম থাকে। নিয়মের গণ্ডিতেই চলতে হয়। এই নিয়মগুলো ভঙ্গ করবেন না। কর্মক্ষেত্রে প্রথম শর্ত এটি। নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসুন। পাশাপাশি অন্য নিয়মগুলোও মেনে চলুন।