যেকোনো কাপড় পরিষ্কারে কাচাকাচির ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয় ওয়াশিং মেশিন। সময়ও বাঁচে। ব্যস্ততম জীবনে ওয়াশিং মেশিন আরামের অংশ। এটি বাড়িতে থাকলে কাপড় পরিষ্কারের চিন্তা করতে হয় না। রাতে কিংবা দিনে যখনই সময় পাচ্ছেন ওয়াশিং মেশিনে ঝামেলা ছাড়াই কাপড় ধুয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু লাগাতার সার্ভিস দিচ্ছে যে মেশিনটি এরও তো যত্ন প্রয়োজন।
কিছু বিষয়ে যত্ন নিলেই দিনের পর দিন আপনার ওয়াশিং মেশিনটি সার্ভিস দিয়ে যাবে। ওয়াশিং মেশিন ভালো রাখতে ৫টি দিকে খেয়াল রাখুন। মেশিনটি ভালো রাখতে কী করবেন, আর কী করবেন না, তা জানাব আজকের আয়োজনে।
- প্রথমেই ওয়াশিং মেশিনের সঠিক ব্যবহার জানুন। মেশিনে কাপড় দিয়ে কেবল বোতাম চাপলেই হবে না। সঠিক পদ্ধতিটি জেনে নিন। কোনটার পর কোনটা করতে হবে, তা দেখে নিন।
- জামাকাপড়ে ট্যাগ থাকে। ট্যাগের গায়ে লেখা থাকে কীভাবে কাচতে হবে। সেই অনুযায়ী পোশাক ওয়াশিং মেশিনের সেটিংস ঠিক করে নিন। সব ধরনের জামাকাপড় বা ফেব্রিক একধরনের সেটিংসে কাচা যায় না। বেশির ভাগ জামাকাপড়ই নরমাল সেটিংসে কাচা যায়। তবু অনেক জামাকাপড়ের জন্য আলাদা করে সেটিংস সেট করতে হয়। না জেনে উল্টোভাবে সেটিংস ব্যবহারে হিতের বিপরীত হতে পারে। মেশিনের সঙ্গে আপনার কাপড়টিও নষ্ট হবে।
- বেশি নোংরা হলে বেশি ডিটারজেন্ট দিতে হবে তা কিন্তু নয়। এটা আপনার ওয়াশিং মেশিনের জন্য় ক্ষতিকর। জামাকাপড় কম বা বেশি নোংরা হলেও নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডিটারজেন্ট দিন। প্রয়োজনে একবারে না হলেও দুই বারে জামাকাপড় মেশিনে পরিষ্কার করে নিন। কিন্তু অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দেবেন না। অতিরিক্ত সাবান মেশিনের গায়েই লেগে থাকলেই মেশিনের ক্ষতি হয়।
- ভেজা জামাকাপড় দীর্ঘ সময় মেশিনের ভেতরে রেখে দেবেন না। ধোয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই তুলে নিন। অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে মোবাইলে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখতে পারেন। মেশিনে ভেজা কাপড় বেশিক্ষণ রাখা হলে গন্ধ হতে পারে। আবার মেশিনেরও ক্ষতি হয়।
- ওয়াশিং মেশিনের লেখা থাকে কোন কাপড়গুলো কীভাবে পরিষ্কার করবেন। তাই সব ধরনের জামাকাপড় একসঙ্গে মেশিনে ঢোকাবেন না। ভারী কাপড় আলাদা করে ধুয়ে নিন। হালকা কাপড়গুলো একসঙ্গে দিন। এতে মেশিন একটা গতিতে চলবে। সবগুলো কাপড় সমানভাবে পরিষ্কার করবে। মেশিনে অতিরিক্ত চাপও পড়বে না।