• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২১, ০৩:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৪, ২০২১, ০৪:৩৩ পিএম

করোনাকালে বাড়িতেই হোক চুলের যত্ন

করোনাকালে বাড়িতেই হোক চুলের যত্ন

বাড়িতে বন্দি সময় কাটছে। করোনা আতঙ্কে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই। পার্লারে গিয়ে নিয়মিত রূপচর্চাও এখন করা হয় না। কিন্তু ত্বক ও চুলের হাল তো বেহাল দশা। বাড়ির নানা কাজ সামলে নিতে কিংবা অফিসের কাজে মন দিতে চুলের প্রায় দফারফা অবস্থা। এখন বেশির ভাগ স্পা, পার্লারই বন্ধ। তাছাড়া সেখানে গিয়ে সেবা নেওয়াও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে ঘরেই। ঝটপট বাড়িতেই করা যায় এমন কয়েকটি সহজ টিপস জানাব এই আয়োজনে।

প্রতিদিন চুল আঁচড়ে নিন

অনেকেই কাজের ব্যস্ততায় চুল আঁচড়ে নিতে ভুলে যান। গোসলের পর ভেজা চুল আঁচড়ানো ঠিক নয়। তবে খানিকটা শুকিয়ে এলে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। প্রতিদিন নিয়ম করে চুল আঁচড়ে নেবেন। এতে মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। চুল মজবুত হয়। দ্রুত বেড়ে ওঠে।

হট অয়েল ম্যাসাজ করুন

মাথার ত্বকে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করুন। ভুলেও একগাদা তেল লাগাবেন না। কারণ চুলে ঠিকমতো শ্যাম্পু না করলে চুলে তৈলাক্তভাব থেকে যায়। এতে ধুলোবালি চুলে আটকে থাকে। এর চেয়ে তেল ধীরে ধীরে চুলের ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এতে স্কাল্পে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, যা চুলের ফলিকলের জন্য খুবই ভালো। ২০ মিনিট ম্যাসাজ করার চেষ্টা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা নিংড়ে পুরো চুল বেধে রাখুন। ১০ মিনিট রেখে দিন। চুলের গোড়া শক্ত হবে।

সঠিকভাবে শ্যাম্পু করুন

চুল ধুতে হবে সঠিকভাবে। হালকা প্যারাবেন ও সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু বেছে নিন। আমলা রিঠা ও ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের চাকচিক্য ধরে রাখবে। প্রতিবার শ্যাম্পু করার আগে তেল বা কন্ডিশনার লাগাবেন।

কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন

শ্যাম্পুর করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাতে হবে। চুল শুষ্ক না তেলতেলে এর ওপর নির্ভর করে সপ্তাহে কতবার কন্ডিশনার লাগাবেন তা ঠিক করুন। কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি কমায়। এটি চুলের ওপর একটি স্তর তৈরি করে, যা চুলকে রক্ষা করে। যাদের চুল শুষ্ক তারা শ্যাম্পুর আগে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিবেন। তারপর চুল না ধুয়েই শ্যাম্পু লাগাবেন। এরপর চুল ধুয়ে নিবেন। যাদের তৈলাক্ত চুল তারা শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।

হেয়ার মাস্ক ব্যবহার

যাদের চুলে বেশি জট থাকে বা চুল বেশি রুক্ষ হয়ে যায় তাদের হেয়ার মাস্কের প্রয়োজন রয়েছে। সপ্তাহে একবার বা দুইবার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। কেরাটিনযুক্ত হেয়ার মাস্ক এক্ষেত্রে ভালো কাজ দেবে।

স্টাইলিং প্রডাক্ট

স্টাইলিং প্রডাক্ট থেকে চুলকে দূরে রাখুন। অনেকে স্টাইলের জন্য নানা ধরনের জেল বা স্প্রে ব্যবহার করেন। এই প্রডাক্টে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে, যা চুলের শত্রু। খুব প্রয়োজন না হলে এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করবেন না। এছাড়া ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। স্বাভাবিকভাবেই চুল শুকিয়ে নিন।

বাড়িতে চুল রং করবেন না

অনেকেই কয়েক মাস পরপর চুলের নতুন রং করে ফ্যাশনের ট্রেন্ড ধরে রাখেন। কিন্তু পার্লারে যেতে না পেরে ভুলেও বাড়িতে চুল রং করার চেষ্টা করবেন না। বাড়িতে চুল রং করা মানেই বিপদ। কারণ পার্লার বা স্পা তে অনেক নিয়ম মেনে চুল রং করা হয়। কিন্তু বাড়িতে তা সম্ভব হয় না। এতে চুলের ক্ষতি হয়।