• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২১, ০৩:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৬, ২০২১, ০৪:৪৫ পিএম

জামাইষষ্ঠীর পূজা হবে যেভাবে

জামাইষষ্ঠীর পূজা হবে যেভাবে

১৬ জুন,  এ বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ষষ্ঠী। হিন্দুধর্মাবম্বলীরা এই দিনই পালন করে জামাইষষ্ঠী। এই দিন পূজা করা হয়। মেয়ের জামাই শ্বশুড়বাড়ির নিমন্ত্রণে আসেন। দই, মিষ্টি, ফল, পিঠা নিয়ে হাজির হন। অন্যদিকে জামাইয়ের সম্মানে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপক আয়োজন চলে। নানা পদের নানা খাবারে ভরপুর থাকে পুরো থালা। এরপর নতুন কাপড় উপহার দিয়ে নিজেদের কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। এমনই কিছু নিয়ম মেনে পালিত হয় জামাইষষ্ঠী।

এই ষষ্ঠী পূজা সাধারণ মেয়ের মঙ্গলের জন্যই করা হয়। জামাইয়ের কাছে মেয়ে যেন যত্নে থাকে, মেয়েকে যেন জামাইবাড়িতে কোনো কষ্ট করতে না হয় এবং তাদের বন্ধন যেন ঠিক থাকে, সেই লক্ষ্যেই পালিত হয় জামাইষষ্ঠী।

জামাইষষ্ঠীর পূজা করা হয় কিছু নিয়ম মেনে। এই পূজায় থাকে আম্রপল্লব, তালপাতার পাখা, ধান, দূর্বা, ৯ রকমের ফল, ফুল এবং বেলপাতা, সাদা সুতো ও হলুদ। শুরুতেই শাশুড়িরা স্নান করে ঘটে পানি নিয়ে এতে আম্রপল্লব স্থাপন করেন। সঙ্গে রাখেন তালপাতার পাখা। ১০৮টি দূর্বা, করমচা ফলসহ পাঁচ থেকে সাত বা নয় রকমের ফল কেটে কাঁঠাল পাতার ওপর সাজিয়ে রাখেন।  

এরপর একটি সুতোয় হলুদ মাখিয়ে ফুল, বেলপাতা দিয়ে গিট বেঁধে নেন। বাড়িতে জামাই এলে ওই সুতোটা আশীর্বাদস্বরূপ তার হাতে বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর তালপাতার পাখায় বাতাস দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বলে উঠে-‘ষাট-ষাট-ষাট’।

শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে জামাইয়ের বন্ধন অটুট থাকার লক্ষ্যেই এই সুতো বাঁধা হয়। পাখা দিয়ে হাওয়া করা মানে, বিপদ তাড়িয়ে দেওয়া। তাদের ধারণা, জামাইয়ের ওপর থেকে সব ধরনের বিপদ কেটে যাবে এই রীতিতে। আর ‘ষাট-ষাট-ষাট’-বলে, জামাইর আয়ু বৃদ্ধির কামনা করা হয়।