বাবার অপমান সইতে না পেরে মেয়ের আত্মহত্যা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০১৯, ০৭:৩৮ পিএম বাবার অপমান সইতে না পেরে মেয়ের আত্মহত্যা
বিষপানের পর হাসপাতালে ভর্তি খুশি আক্তার। ৩ দিন পর মারা যায় সে - ছবি : জাগরণ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাবার অপমান সইতে না পেরে বিবি আফছার আলী খুশি আক্তার (১২) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে খুশি মৃত্যুবরণ করে। ছাত্রীর বাবা মো. ইলিয়াস খলিফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইলিয়াস খলিফার অভিযোগ, গত শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিবি আফসার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রিয়াজের বিরুদ্ধে তার মেয়ে খুশি আক্তারকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের কক্ষে যান। এ সময় প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানার জন্য খুশি ও রিয়াজকে তার কক্ষে ডেকে আনেন এবং অন্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে খুশি আক্তারের সামনেই তার বাবা ইলিয়াস খলিফাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন প্রধান শিক্ষক।

এ সময় বাবাকে এভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ করলে খুশিকে গলা ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন উত্তেজিত প্রধান শিক্ষক। পরে অন্য এক শিক্ষকের সহযোগিতায় খুশির বাবা ইলিয়াস খলিফাকেও গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। আর এ অপমান সইতে না পেরে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে গিয়ে বিষপান করে খুশি।

পরে গুরুতর অবস্থায় খুশিকে উদ্ধার করে প্রথমে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে টানা তিন দিন চিকিৎসায় থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে খুশি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

ইলিয়াস খলিফা জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

এদিকে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ওই দিন ইলিয়াস খলিফাই তার মেয়েকে থাপ্পড় মেরেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ তুলেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

এনআই

আরও সংবাদ