বাউফলে ইউএনও পরিচয়ে ৬ শিক্ষকের সাথে প্রতারণা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৫:৩৩ পিএম বাউফলে ইউএনও পরিচয়ে ৬ শিক্ষকের সাথে প্রতারণা

পটুয়াখালীর বাউফলে ইউএনও পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ৬ শিক্ষকের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের কাছে ইউএনও পরিচয়ে ফোন দিয়ে বলা হয়, ‘এই উপজেলার শিক্ষকদের নামে ২৫টি সরকারি ল্যাপটপ বরাদ্দ করা হয়েছে। আপনিসহ ইচ্ছুক শিক্ষকরা আগামীকাল শনিবার বিকালের মধ্যে এসে ল্যাপটপ নিয়ে যাবেন। যদি ল্যাপটপ পেতে চান তাহলে দ্রুত প্রত্যেক শিক্ষককে ৫ হাজার টাকা হারে বিকাশে পেমেন্ট করতে হবে।’

এরপর শুক্রবার রাতের মধ্যে চাঁদকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ২ হাজার টাকা, সহকারী শিক্ষক স্বপন কুমার ৫ হাজার টাকা, সহকারী শিক্ষক ওসমান গণি ৫ হাজার টাকা, মঠবাড়িয়া এজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান ৫ হাজার টাকা, কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাকিম ২ হাজার টাকা ও কেশবপুর এনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান ৫ হাজার টাকা বিকাশে পেমেন্ট করেন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই শিক্ষকেরা ল্যাপটপ নেয়ার জন্য বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দের সঙ্গে দেখা করেন। ইউএনও তাদেরকে জানান, কিছুদিন থেকে একটি প্রতারক চক্র তার সরকারি নম্বরটি ক্লোন করে প্রতারণা করছে। বিষয়টি ফেসবুকে শেয়ারও করেন তিনি। এ খবরে শিক্ষকদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তিনি শিক্ষকদের সান্ত্বনা দিয়ে বাউফল থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করার পরামর্শ দেন।

এ প্রসঙ্গে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে বলেন, ‘আমার সরকারি নম্বর ক্লোন করে একটি চক্র প্রতারণা করছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।’

এনআই

আরও সংবাদ