মা ইলিশ শিকার ও মজুদের দায়ে ৩৬ জনকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৯:০৯ এএম মা ইলিশ শিকার ও মজুদের দায়ে ৩৬ জনকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পৃথক দুটি অভিযানে মা ইলিশ শিকার ও মজুদের দায়ে ১৬ জনকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ জন ক্রেতাকে ৫৪ হাজার ৫শ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টা হতে রাত ১০টা এবং রাত ১টা হতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চর জাফরগঞ্জ ও পাটুরিয়া সংলগ্ন পদ্মা ও যমুনা নদীতে এবং নদী তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে  মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৮ জেলেকে হাতেনাতে আটক করা হয় এবং ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

ইলিশ মাছ ক্রয় এবং বহনের অপরাধে মোট ১৪ জনকে ৩৪ হাজার ৫শ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এছাড়া প্রায় ৮০ হাজার  মিটার কারেন্ট জাল ও প্রায় ৬ মণ মা ইলিশ জব্দ করা হয়। এর আগে বুধবার দুপুর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত যমুনা ও পদ্মা নদীতে অভিযানে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ১৩ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৮ জনকে ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- খলিল, মোশাররফ, মামুন, সেকেন প্রামাণিক, আলামিন, জিন্নাহ মন্ডল, মো. হাবু, সাইফুল মোল্লা। বাকি ৫ জনকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

এছাড়া আরিচায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে ৬০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। ইলিশ মজুদের দায়ে রুনা খন্দকার (৪০) কে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। 

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এফ এম ফিরোজ মাহমুদ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান, ডিবি, শিবালয় থানা ও নৌ পুলিশের টিম। 

জব্দকৃত কারেন্ট জাল নিয়ম মাফিক ধ্বংস করা হয়েছে। ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এফ এম ফিরোজ মাহমুদ বলেন, আমাদের চলমান অভিযান আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ সময়ের মধ্যে যার কাছেই ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে তাকেই আমরা আইনের আওতায় এনে বিধান অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করবো। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরিচায় খন্দকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  

কেএসটি

আরও সংবাদ