ভোলার দৌলতখান উপজেলা সদরে অগ্নিকাণ্ডে নয়টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার দৌলতখান বাজারের অগ্রণী ব্যাংক-সংলগ্ন এলাকায় এই আগুনের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাজারের অগ্রণী ব্যাংক-সংলগ্ন মো. শামীমের মুদি দোকানের বিদ্যুতের মিটার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, ভোলাসহ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে মুদি দোকানে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার ও তেলের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে আশপাশের আরও নয়টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হচ্ছে শামীমের মুদি দোকান, আলমের মুদি দোকান, জামাল বেড হাউস, শুক্কুর আলীর ফলের দোকান, মোস্তফা বেডিং হাউস, মাসুদ মিজির হার্ডওয়্যার, মনির স্টোর, কামাল হোসেনের সয়ামিল ও মাইদুল স্টোর।
ভোলা জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট যৌথভাবে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একটি মুদি দোকানের বিদ্যুতের মিটার থেকে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে আশপাশের নয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এনআই