নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বক্তাবলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ট্রলার থেকে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন মেহেদী হাসান জিসান (৩৫) ও লিখন (৩২) নামের দুই প্রকৌশলী। নিখোঁজের ৪ দিন পর শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের মরদেহ ভেসে উঠলেও লিখন নামের আরেক প্রকৌশলী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহত মেহেদী হাসান রাজশাহী জেলার বোয়ালমারী থানার গোরহাঙ্গা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। নিখোঁজ লিখনের বাড়ি ফরিদপুরে।
পুলিশ ও নিখোঁজের স্বজনরা জানান, মেহেদী ও লিখন সাভারের আশুলিয়া থানায় ‘বাংলা ক্যাট’ নামের একটি বেকু কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে ৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার বক্তাবলীতে কোম্পানির কাজ শেষ করে ভোর সাড়ে ৫টায় ট্রলারযোগে বুড়িগঙ্গা নদী পার হতে গিয়ে লঞ্চের সাথে ট্রলারের ধাক্কা লাগলে দুজনই নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজের ৪ দিন পর মেহেদীর মরদেহ শুক্রবার সিরাজদিখানের পুরান ভাষানচর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ভেসে ওঠে। পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং নিহতের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন।
সিরাজদিখান থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, ভাষানচর গ্রামসংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তারা সিরাজদিখান থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জিসানের মরদেহ শনাক্ত করেন।
ওসি আরো জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এনআই