নরসিংদীতে ইউএনওর বাধায় পণ্ড স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২০, ০৮:৪২ পিএম নরসিংদীতে ইউএনওর বাধায় পণ্ড স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ
কনের মা ও কনে ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয় মর্মে অঙ্গীকার করেন  -  ছবি : জাগরণ

নরসিংদী জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা আক্তারের বাধায় পণ্ড হয়ে গেল স্কুলছাত্রী জেমীর বাল্যবিবাহ। পরিবারের সদস্যরা মেয়েটির বাল্যবিবাহের আয়োজন করেন। সবকিছু ঠিকঠাক, অতিথিরা খাওয়াদাওয়ার অপেক্ষায়। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরাও অপেক্ষায় কখন বরযাত্রী আসবে।

এমন সময় বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার। সাথে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহ আলম মিয়া, মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের উপপরিচালক সেলিনা আক্তার ও নরসিংদী মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামানসহ প্রায় এক প্লাটুন পুলিশ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের দগরিয়া গ্রামের পুলিশ লাইন এলাকায় কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

কনের বাড়িতে ইউএনওসহ তার সঙ্গীরা উপস্থিত হয়ে স্কুলছাত্রী জেমীর জন্মনিবন্ধন চেয়ে পরীক্ষা করলে তা ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও সচিব মো. আরিফ উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। তারা জন্মসনদটি ভুয়া বলে দাবি করেন। অন্যদিকে সকল প্রকার যাচাই-বাছাই শেষে প্রমাণিত হয় কনের বয়স ১৫ বছর।

স্থানীয় একটি সূত্র জেলা প্রশাসককে বাল্যবিবাহের খবর দেয়। এই খবরের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের নির্দেশনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই বাল্যবিবাহ পণ্ড করে দেন। এ সময় কনে জেমীর পরিবারকে জানানো হয়, ১৮ বছরের আগে কোনোভাবেই মেয়ের বিয়ে দেয়া যাবে না।

কনের মা পেয়ারা বেগম ও কনে জেমী ১৮ বছরের আগে বিয়ে হবে না মর্মে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন।

ইউএনও তাছলিমা আক্তার জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে নরসিংদীর চিনিশপুর ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ চলছে যাতে কোনো বাল্যবিবাহ না হয়। এখানে খবর পেয়ে মেয়েটির বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। এছাড়া পরিবারের কাছ থেকে একটি অঙ্গীকারনামাও গ্রহণ করা হয়, যেখানে বলা হয়েছে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেয়া হবে না।

এনআই

আরও সংবাদ