সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় একই দিনে ৭ স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

প্রথমে দুপুর ২টায় সিরাজগঞ্জ সদরের ছোনগাছা ইউনিয়নের গুপিরপাড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানজিলা খাতুন সীমা (১৪), বিকাল সাড়ে ৩টায় পশ্চিম গুপিরপাড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. মিম খাতুন (১৪), সন্ধ্যা ৬টায় কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মাসুদা খাতুন (১৩), সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের তেলকুপি গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ময়না খাতুন (১৪), রাত ৮টায় ছোনগাছা ইউনিয়নের ছোনগাছায় নবম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা খাতুন (১৫), রাত সাড়ে ৯টায় বাগবাটি ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. জান্নাতী খাতুন (১৫) এবং রাত ১১টায় পৌরসভার কোবদাসপাড়া ইউনিয়নের নবম শ্রেণির ছাত্রী কবিতা খাতুন কিয়ামীর (১৪) বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান জানান, বুধবার দুপুরে হতে গভীর রাত পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। ছয়টি বাল্যবিবাহে কনের অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং একটিতে বর ও কনে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক। বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করে সর্বমোট ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিটি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কনের বাবা ও বরের বাবার কাছ থেকে কনে ও বর প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়।

বাল্যবিবাহগুলো বন্ধে সহযোগিতা করেন পেশকার মিলন সরকার, নূরে এলাহী ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

এনআই