বরগুনা দলবেঁধে ধর্ষণ

গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত মিলেছে

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৯, ২০২০, ০৮:৪২ পিএম গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত মিলেছে
সংগৃহীত ছবি

বরগুনায় দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

শনিবার (৯ মে) গণমাধ্যমকে এ কথা জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে একজন র‌্যাবের কাছে ওই গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের কথা শিকার করেছে। তবে তালতলী থানা পুলিশ মামলা নিয়েছে ধর্ষণ চেষ্টা। নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগ, তালতলী থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ ফরিদ তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিতে বাধ্য করেছে।

২২ এপ্রিল (বুধবার) তালতলীর শুভসন্ধ্যা বন এলাকায় দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক সপ্তাহ পর ধর্ষণ চেষ্টার মামলা নেয় তালতলী থানা পুলিশ।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করায় পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব হোসেন জানান, দলবেঁধে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ওই নারী গণধর্ষণের শিকার হযেছেন।

ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের ধরতে প্রথমে অভিযানে নামে র‌্যাব-৮। গ্রেফতার করা হয় জহিরুল আকন নামে একজনকে। র‌্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক রইছ উদ্দিন বলেন, জহিরুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে জানায়। তবে সে ধর্ষণ করেনি। তার সহযোগী চারজন ধর্ষণ করেছে।

নির্যাতিত ওই গৃহবধূ দৈনিক জাগরণকে বলেন, তালতলী থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ ফরিদ তাকে চাপ সৃষ্টি করে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিতে বাধ্য করেছিল।

এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি তালতলী থানা পুলিশ এবং পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।

এরই মধ্যে এজাহারভূক্ত আসামি নজরুল ও এমাদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক এখনও দু’জন।

এনএমএইচএল/এসএমএম

আরও সংবাদ