কলার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০, ০৭:৫৬ পিএম কলার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এককালীন ফলন ও অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। অনেক কৃষকের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও এসেছে এ কলা চাষে। কলার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম। জৈব সার ব্যবহার করে কলা চাষ করার ফলে স্থানীয় বাজারে এ কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

একবার কলার চারা রোপণ করলে দুই-তিন মৌসুম ফল পাওয়ার কথা জানিয়ে কৃষক পারভেস জানান, আমি এক একর জমিতে কলা চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার খরচ করে ৫০-৬০ টাকা আয় করা যায়। কলা চাষে কৃষি অফিস থেকে কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে, বিভিন্ন সময় পরামর্শ চাইলে পরামর্শ পেয়েছেন।

উপজেলার ৪টি ইউপিতে কলা চাষ করছে কৃষকরা। চলতি মৌসুমে চাষিরা কলার দাম ভাল পাওয়ার কারণে অনেক কৃষক চাষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে রাজাগাঁও ইউনিয়নে চাষ বেশি করা হচ্ছে।

চাকরি না পেয়ে কলা চাষে সফল হওয়া দুলাল জানান, জৈব সার ব্যবহার করার কারণে এখানে ফলন ভালো হয়। এছাড়াও অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি এবং শ্রমিক খরচ কম যার জন্য আমরা কলা চাষে ঝুঁকছি।

সাগর কলা, অমৃত সাগর, মেহর সাগরসহ বিভিন্ন জাতের চারা রোপণ করা হয় এ এলাকায়। প্রতি বিঘা জমিতে ৩শ থেকে ৪শ চারা রোপণ করা যায়। প্রায় এক বছর পর পর রোপণকৃত গাছ থেকে কলা পাওয়া যায়।

পাঁচ বিঘা জমিতে কলা চাষ করা সফল ব্যবসায়ী শরিফূল ইসলাম জানান, প্রায় পাঁচ বছর হলো কলা চাষ করছি। এলাকার মানুষ কলা চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে কলা চাষে ঝুঁকছেন।

কলা বিক্রির জন্য দূরে কোথাও যেতে হয় না জানিয়ে শরিফুল ইসলাম জানান, মূলত  কলা চাষে সফলতা দেখে কলা চাষ শুরু করি। ফলন ভালো হওয়ায় প্রথম বছরেই আশানুরূপ লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বয়স ভেদে বিভিন্ন গাছে কলার কাদি প্রায় সারা বছরই ফলন দেয়। প্রতি কাদি কাঁচা কলা স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি বিক্রি হয় প্রকার ভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

এখানকার কলায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না জানিয়ে সুমন জানান, চার বছর যাবত কলা চাষ করে লাভবান হচ্ছি। অন্য ফসলের চেয়ে এটি অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এলাকায় কলা চাষ বাড়ছে।

১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আলী হোসেন জানান, এ বছর এ ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কলা চাষিদের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। 

জাগরণ/এমএইচ

আরও সংবাদ