লিবিয়ায় মানবপাচাকারীদের ধরতে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে সিইআইডি। আর পাচারাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন পার পাবে না কেউই।
অভিবাসন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংতস্থা আইওএম বলছে, দালাল চক্রের টাকা অর্থের প্রবাহ ধরে খুজে বের করা যেতে পারে অপরাধীদের।
বর্তমানে ইতালিতে থাকা এক বাংলাদেশি জানান কিভাবে কোন পথে গিয়েছেন স্বপ্নের দেশে। এই সব দালালদের হাতেই মাত্র কদিন আগে লিবিয়ায় প্রাণ গেছে ২৬ বাংলাদেশির। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে সরকার।
এরই মধ্যে চার্জশিট দিয়ে ওয়ারেন্টের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করেছে সিআইডি। একসাথে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দালালদের পরিচয় যাই হোক না কেন, কোনও অপরাধীই পার পাবে না বলে দাবি সিআইডির ওর্গানাইজড ক্রাইমের ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদের।
এর আগে ২০১৮ সালে দালাল চক্রের কবল থেকে মুক্ত ২২৫ জন দেশে ফিরেছিল অভিবাসন সংস্থা আইওএমএর হাত ধরে। সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রধান বলেছেন, টাকা লেনদেনের সূত্র ধরে খুঁজে বের করা যেতে পারে দালালচক্রকে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, দালালরা বাংলাদেশ থেকে অনেককেই বৈধ পথে সুদান, আলজেরিয়া, জর্ডান দিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে। ফলে খুব সহজ হচ্ছে না মানবপাচারকারীদের হাত থেকে বাংলাদেশীদের রক্ষা করা।
এসএমএম