‘নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা’

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২০, ০৫:০০ পিএম ‘নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা’
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার-ফাইল ছবি

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ (এমপি) অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শুধু নির্বাচনি প্রচার নয়, কোনও কার্যক্রমেই অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানী আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানান তিনি। দুপুর ১২ থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় ছিলেন কমিশনার তালুকদার। এ সময়  অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

মাহবুব তালুকদার বলেন, দু’টি বিষয়ে স্পষ্ট ও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে একটি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ। এ বিষয়ে আমরা বলেছি বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া সম্ভব না। অতি গুরুত্বসম্পন্ন কেউ নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে আমরা বলেছি বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।

মাহবুব তালুকদার বলেন, অতিগুরুত্ব সম্পন্ন সংজ্ঞায় যেসব বিষয় তার মধ্যে এমপি, মন্ত্রীরা পড়েন। আইনত তারা নির্বাচনি প্রচারকার্যে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু নির্বাচনি প্রচার কাজ নয়, কোনও নির্বাচনি কার্যক্রমে তারা অংশ নিতে পারবেন না। তবে তারা যার যার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনও বিধি-নিষেধ নেই। এছাড়াও ইভিএম কিভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সব কেন্দ্রের জন্য ব্যাকআপ সিস্টেম থাকবে। ইভিএম আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। উত্তর ও দক্ষিণে দুইজন সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনি দায়িত্বে আছেন তারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন কি- না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনি প্রচারে মন্ত্রী-সংসদ সদস্য সুযোগ চাওয়া হয়েছে কি- না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম তাদের আইন বের করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যে তারা পারবেন না। তারাই এতে আশ্বস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনটি আমাদের কাছে অনেক চ্যালেঞ্জের। কেননা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আমরা ভোট করছি। কাজেই ভোটারের উপস্থিতি একটা চ্যালেঞ্জ। ভোটার উপস্থিতি কম হলে হবে না। আমরা চাই ব্যালট পেপারের মতো ইভিএমের ভোটারের উপস্থিতি হোক।

ইসি সহযোগিতা চেয়েছে কি- না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব দলকে বলবো, তাদের সবার সহায়তা আমাদের দরকার। আপনার ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। আমাদের সফলতা নির্ভর করছে ভোটার উপস্থিতির ওপর। এটা অত্যন্ত গুরুত্বে সঙ্গে দেখছি।

৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকার দুই সিটি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এইচএস/এসএমএম

আরও সংবাদ