• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২০, ০২:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০২০, ০২:২৮ পিএম

কোভিড-১৯

নতুন শনাক্ত ৩৯০, মৃত্যু ১০ জনের

নতুন শনাক্ত ৩৯০, মৃত্যু ১০ জনের
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ● টিভি থেকে নেয়া

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্ত সংখ্যার হার কমলেও, মৃত্যু বেড়েছে ১ জন। অর্থ্যাৎ নতুন করে ৩৯০ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। যা মঙ্গলবারের (২১ এপ্রিল) তুলনায় ৪৪ জন কম। এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭২ জন। এই সময়ে মারা গেছে আরও ১০ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১২০ জন। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) মারা যাওয়ার সংখ্যাটা ছিল ৯ জন।

বুধবার (২২ এপ্রিল) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এদিন ব্রিফিংয়ে যোগ দেন অধিদফতরের কেন্দ্রীয় ঔষুধাগারের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে ৩ হাজার ৯৬ জনের। যা গতকালের তুলনায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এ পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ হাজার ৬৭৪টি।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান,  গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ষাটোর্ধ্ব। ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্য ৩ জন এবং ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ২ জন।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরও ৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৯২ জন।

ব্রিফিংয়ে জানান হয়, এরই মধ্য ৫৫টি জেলার কোভিড ছড়িয়েছে গেছে।  সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। শতাংশের হিসেবে ৭২ ভাগ। এরপরেই নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যেসব রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ শতাংশই চিকিৎসক এবং নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকদের একটি সংগঠন।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ৪৩৪ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় এবং সেদিন মারা যায় ৯ জন।

৮ মার্চ (রোববার) দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মাসের শেষ দিক থেকে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। 

করোনার সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও তিনদিন আগে বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছিলেন ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো। অন্যান্য দেশে করোনার চিকিৎসায় যখন বারবার ভেন্টিলেটরের কথা উঠে আসছে তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেটরে যাদের নেয়া হয় তাদের মারা যাওয়ার সংখ্যাই বেশি। ওই দিন তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভেন্টিলেটরে নেয়া ৯ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৮ জন।

করোনায় বিশ্বে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ৪৫ হাজার মানুষ। ইতালিতে সাড়ে ২৪ হাজার, স্পেনে ২১ হাজারের বেশি ও ফ্রান্সে প্রায় ২১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইতালি। দেশটিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কমেছে নতুন সংক্রমণের হার। 

গ্রিনকার্ডের আবেদনে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রক্ষায় ৪৮০ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শিগগিরই খুলে দিতে যাচ্ছে, সাউথ ক্যারোলাইনাসহ কয়েকটি রাজ্য। বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধে অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের অভিযোগে চীনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মিজৌরি রাজ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-সিডিসির প্রধানের হুঁশিয়ারি, আগামী শীতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

আর জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচির প্রধানের শঙ্কা, করোনার প্রভাবে বিশ্বের অন্তত ৩০টি দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে দুর্ভিক্ষ। এরইমধ্যে অনাহারে-অর্ধাহারে আছেন, ১৩ কোটি মানুষ।

চীনের একদল গবেষক জানান, আক্রান্তের শরীরে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে করোনাভাইরাস।

এসএমএম

আরও পড়ুন