• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২০, ০২:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০২০, ০৩:১১ পিএম

কোভিড-১৯

একদিনে সামান্য কমলো শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা

একদিনে সামান্য কমলো শনাক্ত  ও মৃত্যুর সংখ্যা
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ● ওয়েবসাইট

গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমেছে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। তারপরেও দ্বিতীয়বারের মতো শনাক্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়াল। অর্থাৎ নতুন করে ৪৩৪ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। যা সোমবারের (২০ এপ্রিল) তুলনায় ৫৮ জন কম। এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮২ জন।এই সময়ে মারা গেছে ৯ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১১০ জন।সোমবার (২০ এপ্রিল) মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ১০ জন।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। 

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে এ যাবৎকালের সর্বাধিক। ৩ হাজার ১২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টায়। যা গতকালের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। তবে এর মধ্যে থেকে ২ হাজার ৯৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩৪ শনাক্ত করা হয়েছে। যা সোমবারের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। 

ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং দুই জন নারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ষাটোর্ধ্ব। ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্য ৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরও ২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৮৭ জন।

২৪ ঘন্টায় ৮৯ জন নতুন করে আইসোলেশনে এসেছেন। ৭৬৫ জন এ পর্যন্ত আইসোলেশনে ছিলেন। ৫৭৯ জন আইসোলেশন থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।

সোমবার (২০ এপ্রিল) ৪৯২ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় এবং সেদিন মারা যায় ১০ জন।

৮ মার্চ (রোববার) দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মাসের শেষ দিক থেকে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। 

করোনার সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও দুইদিন আগে বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছিলেন ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো। অন্যান্য দেশে করোনার চিকিৎসায় যখন বারবার ভেন্টিলেটরের কথা উঠে আসছে তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেটরে যাদের নেয়া হয় তাদের মারা যাওয়ার সংখ্যাই বেশি। ওই দিন তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভেন্টিলেটরে নেয়া ৯ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৮ জন।

বিশ্ব প্রাণহানি প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ২৪ লাখ ৭৩ হাজারেরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ৪১ হাজার। আক্রান্ত ৭ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি।

আগে ১ লাখ মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা করলেও, সোমবার (২০ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন।

কানসান, অ্যারিজোনা, শিকাগোসহ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

স্পেনের পর ফ্রান্সেও প্রাণহানি ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ। ইতালিতে নতুন করে ৪৫৪ জনের প্রাণহানি নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। সিঙ্গাপুরে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২৩ জন আক্রান্ত নিয়ে, দেশটিতে ৮ হাজার কোভিড নাইনটিন রোগী চিহ্নিত হলো।

ভারতে একদিনে রেকর্ড ১ হাজার ৫৫৩ জন নিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণহানি ৫৯৯।

সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে রমজানেও নামাজসহ সব ইবাদত স্থগিত করা করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, করোনাভাইরাসে চরম বিপর্যয় আসার এখনও বাকী রয়েছে। দেশে দেশে লকডাউন তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ সতর্কতা দিলেন সংস্থার পরিচালক।

এসএমএম

আরও পড়ুন