• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ২, ২০২১, ১২:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২, ২০২১, ০৫:২৬ পিএম

মঙ্গলে দিব্যি ঘুরছে রোভার পারসিভের‍্যান্স

মঙ্গলে দিব্যি ঘুরছে রোভার পারসিভের‍্যান্স

মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে ২০২০ সালের ৩০ জুলাইয়ে নাসার রোভার পারসিভের‍্যান্স পাড়ি দিয়েছিল মঙ্গলগ্রহে। সেই রোভার পারসিভের‍্যান্স এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে মঙ্গল গ্রহের বুকে।

মঙ্গল গ্রহে চলমান এই রোভার প্রায় সাত মাস সফর করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলগ্রহে পৌঁছায়। সম্প্রতি অ্যানিমেটেড ভিডিও টুইট করে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা মঙ্গলগ্রহে রোভার পারসিভের‍্যান্সে অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে। 

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে রোভার পারসিভের‍্যান্স। সাদা রং দিয়ে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠদেশকে বোঝানো হয়, যার ওপরে চাকা গড়িয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে রোভার।

নাসা জানায়, রোভার পারসিভের‍্যান্স নিজেই নিজের রাস্তা তৈরি করে নিয়েছে। তার কাছে মঙ্গলগ্রহের কোনো রোড ম্যাপ নেই। এখনো অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলো আবিষ্কার করে পর্যবেক্ষণ করবে রোভার। পারসিভের‍্যান্সের সফরেই জানা যাবে মঙ্গলগ্রহে থাকা বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কে,যা পরবর্তী সময়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। 

ছোট গাড়ির আকারের দেখতে রোভার পারসিভের‍্যান্স। এটি ১০ ফুট লম্বা, ৯ ফুট চওড়া এবং ৭ ফুট লম্বা। ওজন ১০২৫ কিলোগ্রাম। চলাচলের সুবিধার্থে এতে চাকা লাগানো রয়েছে।

মার্কিন স্পেস এজেন্সির লক্ষ্য হলো, রোভার পারসিভের‍্যান্স এবং মার্স হেলিকপ্টার ইনজেনুইটির সাহায্যে মঙ্গলগ্রহ থেকে ভাঙা পাথর, মাটির নমুনা সংগ্রহ করে আনা।

এদিকে মঙ্গলগ্রহে রোভার পারসিভের‍্যান্সের পাশাপাশি হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি পাঠিয়েছে নাসা। যার লক্ষ্য হলো,মঙ্গলগ্রহ থেকে ভাঙা পাথর, মাটির নমুনা সংগ্রহ করে আনা।

মার্কিন স্পেস এজেন্সি বলছে, পৃথিবীর বাইরে প্রথম অন্য কোনো গ্রহে সফল ভাবে উড়েছে হেলিকপ্টার। সেই হেলিকপ্টারের উড়ানের শব্দ, অর্থাৎ ব্লেড ঘোরার শব্দও শোনা গেছে রোভারের মাধ্যমে।

নাসা জানায়, মঙ্গল গ্রহের অত্যন্ত পাতলা কার্যত ফিনফিনে বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন বের করে আনাকে সম্ভব করেছে রোভার পারসিভের‍্যান্স। যা মোটেও সহজ কাজ নয়।

গত ২০ এপ্রিল মঙ্গলগ্রহে ৬০তম দিন ছিল রোভারের। এই দিনই বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করে রোভার একে শ্বাসযোগ্য অক্সিজেনে পরিণত করেছে।