
বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ও সুপার ব্লাড মুন দেখতে সোমবার (১৬ মে) পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে জড়ো হয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানপ্রেমী ও চন্দ্রপ্রেমীরা। বাংলাদেশ থেকে এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা না গেলেও, এ চন্দ্রগ্রহণ দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ অংশ, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক এবং অ্যান্টার্কটিকাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দেখা গেছে। এটিকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের আলোকচিত্রীরা—
ব্রাজিল থেকে তোলা চন্দ্রগ্রহণ
গ্রিসে পোসাইডনের মন্দিরের সামনে গ্রহণের আগে চাঁদ দেখতে জড়ো হন বহু মানুষ। রোববার (১৫ মে) রাত থেকে সোমবার (১৬ মে) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় লাল-কমলা রঙে রঞ্জিত চাঁদ দেখা গেছে। এটি ছিল এই দশকের দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণগুলোর একটি।
মস্কোর রেড স্কয়ারে একটি ভবনের চূড়ায় রাশিয়ার জাতীয় প্রতীকের পেছনে চাঁদ
বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজে ব্লাড মুনের ছবি তুলছেন উৎসাহীরা। গ্রহণের আগে চাঁদ একটি লালচে আভা নির্গত করে এই কারণে এটিকে ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়। এটি ঘটবে কারণ— এ সময় যখন সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছাবে তখন বেশিরভাগ নীল এবং সবুজ আলো ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে।
উত্তর মেসিডোনিয়ার স্কোপজে থেকে তোলা চাঁদের ছবি। চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে এক সরলরেখায় আসলে পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। এই ঘটনাকেই সংক্ষেপে চন্দ্রগ্রহণ বলে।
জাগরণ/বিজ্ঞান/এসএকে/কেএপি