• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ১২:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৭:২৯ পিএম

বাফুফের ফুটবল একাডেমির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

বাফুফের ফুটবল একাডেমির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

 

গত ৫ এপ্রিল থেকে বেরাইদের ফোর্টিজ গ্রুপের মালিকানাধীন জায়গায় যাত্রা শুরু করা বাফুফের ফুটবল একাডেমি শুধুমাত্র অর্থের অভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ব্যক্তিগত তহবিল দিয়ে ফুটবল একাডেমি কতদিন চালানো যাবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। 

অথচ গত ২৬ জানুয়ারি থেকে একাডেমির জন্য ফুটবলারদের বাছাই শুরু করেছিল ফুটবল ফেডারেশন। সাতজন কোচের অধীনে বাছাই করা হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ের ফুটবলারদের। সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত ৬০ ফুটবলাদের নিয়ে এই একাডেমি যাত্রা শুরু করেছিল।

এ বিষয়ে নিজের দুশ্চিন্তার কথাও জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ডিবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, একাডেমি পরিচালনা করতে বছরে দরকার হবে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা। ব্যক্তিগত তহবিলের মাধ্যমে আপাতত একাডেমি চালিয়ে নেয়া গেলেও কতদিন তা টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে, তা নিয়ে শঙ্কা থাকছে।

কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ব্যক্তিগত তহবিল দিয়ে একাডেমি চালাচ্ছি। আমি যতদিন চালাতে পারবো, চালিয়ে যাবো। আশা করি আমরা অনেকদিন পারবো। এই একাডেমি যাতে স্থায়ীভাবে চালানো যায়, তার জন্য একটা ফর্মুলা বের করতে চাচ্ছি। এ বিষয়ে আমি চিন্তিত।  

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কাছে ৫৫ লাখ টাকা বকেয়া রেখে বন্ধ হয়ে যায় ২০১৪ সালে সিলেটে স্থাপিত দেশের প্রথম ফুটবল একাডেমি। অথচ ফিফার সাবেক সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের উদ্যোগে একাডেমি গড়ার জন্য বাফুফেকে ৭ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিল ফিফা।

মোটা অংকের অনুদান পাওয়ার পর সিলেটে স্থাপিত ফুটবল একাডেমি চালিয়ে নিতে পারেনি বাফুফে, যা বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। ফলে বেরাইদে অবস্থিত বর্তমান ফুটবল একাডেমির জন্য অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে বাফুফে এখন কি পন্থা অবলম্বন করে তাই এখন দেখার বিষয়। 

আরআইএস