• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০১৯, ০৩:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০১৯, ০৩:১০ পিএম

ক্রিকেট ছাড়ার হুমকি দিয়ে বসলেন শাহজাদ! 

ক্রিকেট ছাড়ার হুমকি দিয়ে বসলেন শাহজাদ! 

সম্প্রতি হাঁটুর ইনজুরির কারণে আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদকে 'আনফিট' বলে ঘোষণা করেছে সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড। এরই মধ্যে দেশে ফিরে গেছেন শাহজাদ। তবে দেশে ফিরে তিনি জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ফিট থাকার পরেও চক্রান্ত করে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে! এই অভিযোগের জের ধরে এবার ক্রিকেট থেকেই নিজেকে সরিয়ে নেয়ার হুমকি দিলেন শাহজাদ। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে বাঁ হাঁটুতে চোট পান শাহজাদ। তবে ইনজুরিমুক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের প্রথম দুই ম্যাচে ঠিকই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। 

কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ম্যাচের আগে জানানো হয়, হাঁটুর ইনজুরির কারণে এই বিশ্বকাপে আর খেলা হচ্ছে না শাহজাদের। 

কাবুলে ফিরে গিয়ে শাহজাদ ভারতীয় গণমাধ্যম পিটিআইকে বলেন, 'আমি খেলার জন্য সম্পূর্ণ ফিট ছিলাম। তারপরও বুঝতে পারছি না কেন আমাকে বিশ্বকাপ দল থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। শুধুমাত্র আফগান দলের ম্যানেজার, ডাক্তার ও অধিনায়ক জানতেন এ ব্যাপারে। এমনকি কোচকেও (ফিল সিমন্স) এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। এটা সত্যিই হৃদয়বিদারক।'    

বিধ্বংসী এই আফগান ওপেনার বলেন, 'নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে আমি অনুশীলন করে কেবল ফিরছিলাম। তখনই ফোন চেক করে আমি জানতে পারি, আমি নাকি হাঁটুর ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছি! আমিসহ টিম বাসের সবাই এমন খবরে স্তম্ভিত হয়ে যায়।' 

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে শাহজাদ বলেন, 'তারা যদি আমাকে খেলাতে না চায়, তবে আমি ক্রিকেট ছেড়ে দেব। আমি তো অন্তত আর আমার খেলার সম্ভাবনা দেখছি না। বোর্ডের যদি কোনো সমস্যা থাকত, তারা আমাকে জানাতে পারত। লন্ডনে আমি একজন ডাক্তার দেখিয়েছিলাম, তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন দুই-তিনি দিন বিশ্রাম নিলেই আমি খেলতে পারব। ২০১৫ বিশ্বকাপের দলেও জায়গা পাইনি আমি। এই বিশ্বকাপেও আমাকে এভাবে বাদ দেয়া হলো। আমি আমার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব, ক্রিকেটে আর মন টানছে না আমার।' 

ওয়ানডে ক্রিকেটে আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭২৭ রানের মালিক হলেন শাহজাদ। ২০১৫ বিশ্বকাপে ফিটনেস ঘাটতির কারনে আফগান দলে নেয়া হয়নি তাকে। ২০১৭ সালে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞাও কাটিয়েছিলেন তিনি। 

তবে এসিবি প্রধান আসাদউল্লাহ খান বলেছেন, 'শাহজাদকে অন্যায়ভাবে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেইনি আমরা। আইসিসির কাছে আমরা তার পরিপূর্ণ মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল করেছি আমরা, যেখানে পরিষ্কার দেখা গেছে সে খেলার জন্য আনফিট। আইসিসিও অনেক যাচাই বাছাই করে তার বদলি আনার অনুমতি দিয়েছে আমাদের।' 

শাহজাদের বদলে দলে নেয়া হয়েছে তরুণ ইকরাম আলী খিলকে। মাত্র এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে ইংল্যান্ড গেছেন ইকরাম।  

বিশ্বকাপের আগে থেকেই আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হচ্ছে। নিয়মিত অধিনায়ক আসগর আফগানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে গুলবাদিনকে অধিনায়ক বানানো তার একটি। বোর্ডের কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট কোচ ফিল সিমন্সও এ বিশ্বকাপ শেষে আর আফগান দলের দায়িত্বে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এবার সেই বিতর্ক আরও জোরালো হলো শেহজাদ বিতর্কে। 

এমএইচএস