• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০১৯, ০১:২৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৫, ২০১৯, ০১:২৯ এএম

সুপার ওভারেও টাই, তবু কেন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড?

সুপার ওভারেও টাই, তবু কেন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড?

'ম্যারম্যারে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে'র অপবাদ ঘুচাতে ইতিহাসের স্মরণীয় এক রূদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচ উপহার দিলো ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড দ্বৈরথ। মূল ম্যাচের নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ম্যাচ টাই থাকায় সুপার ওভারে গড়ায় ফাইনাল ম্যাচটি। যেখানে সুপার ওভারেও টাইব্রেক হয়নি। তাহলে কোন সমীকরণে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড? চলুন জেনে নেয়া যাক সেই পরিসংখ্যান-

শুরু থেকে নির্ধারিত ৫০ ওভার করে খেলেছে দুই দল। যেখানে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করেছে নিউজিল্যান্ড।এ রান তাড়া করতে নেমে নিজেদের ইনিংসে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ঠিক ২৪১ রানই করতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।ফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টাই হয় ফাইনাল ম্যাচ এবং শিরোপা নির্ধারণের জন্য ম্যাচ নেয়া হয় সুপার ওভারে।কিন্তু সেখানেও হয়নি নিষ্পত্তি।কারণ দুই দলই নিজেদের ৬ বলে করতে পারে সমান ১৫ রান করে।তবু নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ষষ্ঠ বলে মার্টিন গাপটিলকে রানআউট করেই উল্লাসে মেতে ওঠে ইংল্যান্ড।কারণ তাদের জানা ছিলো সুপার ওভারেও টাই হলে শিরোপা উঠবে তাদেরই ঘরে।

সুপার ওভারের নিয়ম অনুযায়ী, যদি এ ৬ বলেও ম্যাচের ফলাফল না হয়, তা হলে যে দল বেশি বাউন্ডারি মেরেছে, সেই দলকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়।আর তাতেও যদি ম্যাচের নিষ্পত্তি না হয়, সে ক্ষেত্রে কী হবে? তখন দেখা হবে সুপার ওভারের শেষ বলে কোন দল কত রান করেছে।যে দল বেশি রান করেছে, নিয়ম অনুযায়ী সেই দলই জিতবে।ফলে মূল ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর পরিসংখ্যানটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে আজকের বিজয়ী নির্ধারনে।সেখানে সমীকরণ মিলে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।কারণ, ফাইনাল ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় মোট বাউন্ডারি পায় ১৬টি।অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়সহ মোট ২৪টি বাউন্ডারি হাঁকায় ইংল্যান্ড।যে কারণে সুপার ওভারের নিয়মানুযায়ী ঘরের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রিটিশ লায়ন্স।

এসকে

আরও পড়ুন