• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০৮:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০৮:৩৪ এএম

জমজমাট লড়াইয়ের জার্মান-আর্জেন্টিনা ম্যাচে কেউ হারেনি

জমজমাট লড়াইয়ের জার্মান-আর্জেন্টিনা ম্যাচে কেউ হারেনি

কিছু কিছু প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচের তকমা সেঁটেও যেন দমানো যায় না তীব্র লড়াইয়ের রেশ। ঠিক এরই সত্যতা আরো একবার প্রমাণ করলো বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ফুটবল বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী আর্জেন্টিনা-জার্মানি দ্বৈরথ। দলের একাধিক মূল তারকাদের ছাড়া মাঠে নামলেও যে তীব্র লড়াইয়ের ঝাঝালো মুহূর্ত উপহার দিলো জার্মান জায়ান্টস আর আর্জেন্টাইন আলবিসেলিস্তেরা, তার উত্তেজনা প্রীতিম্যাচে খুব কমই দেখা যায়। 

বাংলাদেশ সময় ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ড্র করে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করে দ্বিতীয়ার্ধে তা শোধ করে সফরকারীরা।

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হোম গ্রাউন্ড সিগন্যাল ইডুনা পার্কে খেলতে নামে দল দুটি। ম্যাচের শুরুতে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে জার্মানি। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় দলটি। তবে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে ইউলিয়ান ব্রান্ডট সহজ সুযোগ নষ্ট করে।

তবে এক মিনিট পরই গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। ১৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে জার্মানদের এগিয়ে দেন সের্গে জিনাব্রি। অসাধারণ নৈপুণ্যে গোল করেন এ ফুটবলার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে জিনাব্রির এটি দশম গোল।

এরপর ম্যাচে ২২ মিনিটে আবারও গোল পায় জার্মানরা। এবার গোলের সুযোগ সৃষ্টিতে অবদান রাখেন জিনাব্রি। তার অ্যাসিস্টে গোল দেন কাই হাভার্টজ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। ৩১ মিনিটে লাইপজিগের লেফট-ব্যাক মার্সেলের ফ্রি কিক গোল পোষ্টে লেগে ফিরে আসলে আরেকবার হতাশ হয় জার্মানরা। তবে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে প্রথমার্ধের উত্তাপ ধরে রেখে আবার গোলের সুযোগ পায় জার্মানরা। এবার গোল করতে ব্যর্থ হন এমরে কান। ভাগ্যের জোরে বারবার বেঁচে যাওয়া আর্জেন্টাইনরা এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায়। ম্যাচের শেষ ৩০ মিনিটে নিজেদের যে পারফরম্যান্স দেখায় তারা তাতে এটা সত্য যে, পুরো ম্যাচে এই আর্জেন্টিনা পাখা মেললে হয়তো রীতিমতো বিধ্বস্ত হতে হতো জোয়াকিম লোর শিষ্যদের।

আর্জেন্টিনা ম্যাচে প্রথম গোল পায় ৬৬ মিনিটে। বাঁ দিক মার্কোস আকুনার ক্রস থেকে ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে পাঠান বায়ার লেভারকুসেনের স্ট্রাইকার, ফরোয়ার্ড বদলি হিসেবে মাঠে নামা লুকাস আলারিও।

এরপর যেন সেই কোপার আর্জেন্টিনা। মেসিবিহীন আর্জেন্টিনার এমন ধারালো রূপ খুব কমই নজর কেড়েছে দর্শকদের। একের পর এক আক্রমণ আর মাঝ মাঠে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখে দুর্ভেদ্য জার্মান দুর্গে দ্বিতীয় বারের মত চিড় ধরা আর্জেন্টাইনরা ৮৫তম মিনিটে। দারুণ গোছানো এক আক্রমণের সামনে একেবারে অসহায় আত্মসমর্পন করে জার্মান ডিফেন্স আর দ্বিতীয় গোল পায় আর্জেন্টিনা। এ সময় স্কোলানির শিষ্যদের আর্জেন্টাইন ট্রেন্ডি ফুটবলের ছককাটা পজিশনিং আর ল্যাটিন টিকিটাকার কম্বিনেশনের কাছে পরাস্ত হয় জার্মানরা। যার সর্বশেষ লাইনিংয়ে প্রথম গোল করা আলারিও ডি-বক্সে দারুন ইক পুশ-ইন দেয় যা দুর্দান্ত এক কোনাকুনি শটে গোলে পরিণত করেন লা-লিগার দল সেভিয়ার মিডফিল্ডার ওকামপোস। ফলে প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসি বিহীন আর্জেন্টিনা। 

টান টান উত্তেজনা আর আক্রমণের ধারালো ফুটবলে বিশ্বের দুই জায়ান্ট জার্মান-আর্জেন্টিনার নতুন প্রজন্ম এ ম্যাচে জানান দিলো, অতীতের মতো আজো যেমন, তেমনি আগামীতেও কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। সেক্ষেত্রে ধুন্দুমার লড়াইয়ের ঐতিহ্য বহালই রাখবে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা আর ক্লিন্সম্যানের জার্মানি।

এসকে/আরআইএস