• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০১৯, ১০:৪৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২২, ২০১৯, ১১:২০ এএম

ক্রিকেটারদের ধর্মঘট : বিসিবির জরুরি সভা আজ 

ক্রিকেটারদের ধর্মঘট : বিসিবির জরুরি সভা আজ 
ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সভা তলব করেছে বিসিবি। ফটো : গেটি ইমেজ

দেশের ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বোর্ড পরিচালকদের জরুরি সভা তলব করেছে বিসিবি। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।   ক্রিকইনফো

জাতীয় ক্রিকেট লীগের পরের রাউন্ড শুরুর আগে সংকট সমাধানের জন্য বিসিবির হাতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় রয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ভারতের মাটিতে সিরিজের আগে টাইগারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়েও সংশয় দূর করা এখন বিসিবির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

আন্দোলনে নামা ক্রিকেটাররা সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে প্রথমে বিসিবি কার্যালয়ে যান।  এরপর সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজেদের ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন সর্বমোট দশ ক্রিকেটার। বিষয়টি নিয়ে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকের মতে, ক্রিকেটাররা নাকি বোর্ডকে ব্ল্যাকমেইলিং করছে।

বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসের মতে, গণমাধ্যমের কাছে না গিয়ে ক্রিকেটারদের তাদের দাবির বিষয়ে বোর্ডের কাছে আসা উচিৎ ছিল। দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ক্রিকেটাররা যে এত বেশি ক্ষুব্ধ, হতাশ ও মর্মাহত- এই বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। তারা আল্টিমেটাম দেয়ার আগে বোর্ডের কাছে দাবিগুলো উপস্থাপন করতে পারতো। তারা ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুঁটিয়ে নিতে গণমাধ্যমের কাছে গিয়েছিল। এটা ব্ল্যাকমেইলিং ছাড়া আর কিছুই নয়। 

এদিকে বিসিবির আরেক পরিচালক মাহবুবুল আনাম একটি জাতীয় দৈনিককে গোটা বিষয়টিকে বিশাল ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, তাদের (ক্রিকেটারদের) দাবি থাকতে পারে। তবে গণমাধ্যমে যাওয়ার আগে তাদের বিসিবিতে আসা উচিত ছিল। বোর্ড সভাপতি সবসময় এই ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।

মাহবুবুল আনাম বলেন, তারা সিইও, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান এবং বোর্ড প্রধানের মাধ্যমে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে পারতো। যদি তাদের দাবিগুলো মানা না হতো, তবে তারা ব্যবস্থা নিতে পারতো। ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের ডাকের পেছনে অন্য কিছু রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। এটি বিসিবির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।  

তবে আরেক বোর্ড পরিচালক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান অবশ্য ক্রিকেটারদের দাবিগুলো নিয়ে ইতিবাচক সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলো সবসময় আন্দোলন দিয়েই শুরু হয়। যখন আপনি বোর্ডের সঙ্গে বসেন, তখন সেই আন্দোলন আর স্থায়ী হয় না। ক্রিকেটারদের প্রস্তাব পূরণের জন্য বোর্ড রয়েছে। আমি আশা করি খেলোয়াড় এবং বোর্ডের মধ্যে আবারো পুনর্মিলন হবে। আমরা বোর্ডের সভায় তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করবো। 

বোর্ড পরিচালকআহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ক্রিকেটারদের বেশিরভাগ দাবি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করেন এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনার পরে সেগুলো পূরণ করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন। 

সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিসিবির বাইরে থাকা অনেকের কাছ থেকেই বর্তমান ক্রিকেটাররা সমর্থন পাচ্ছেন। ধর্মঘটে যাওয়া ক্রিকেটাররা শুধুমাত্র নিজেদের ব্যক্তিগত ইস্যুগুলোকে সামনে আনার বিষয়টি সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদকে মুগ্ধ করেছে। একটি জাতীয় দৈনিককে সেলিম শাহেদ বলেন- তারা শুধুমাত্র নিজেদের নিয়ে কথা বলেনি। গ্রাউন্ডসম্যান, কোচ, প্রশিক্ষক, ফিজিওদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়েও তারা কথা বলেছে। তারা অবকাঠামোগত উন্নতির কথা বলেছে। তারা বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে টানেনি। তারা আরও উন্নত ভবিষ্যতের বিষয় খুঁজে বেড়াচ্ছে। 

 

আরআইএস