১৩ দফা দাবিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন ক্রিকেটাররা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে তারা বিসিবিতে পৌঁছান।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যকার আলাপ-আলোচনায় বসেন। সেখানে আলোচনা এতোটাই সিক্রেটলি হয়েছে যে ওই সময় নিজেদের ফোনগুলো এক টেবিলে রাখা হয় যাতে করে কারো ফোন থেকে কোনও খবর পাচার না হয়।

সন্ধ্যার আগে সংবাদ সম্মেলন শেষে নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য সময় নেন সাকিব আল হাসানসহ অন্যান্য ক্রিকেটাররা। সেই আলোচনার উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কখন, কোথায় তারা আলোচনা করবেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় বুধবার রাতেই মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে তারা যাবেন এবং আলোচনায় বসবেন বোর্ডের সঙ্গে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) গুলশানের একটি রেঁস্তোরায় মিটিং শেষে ক্রিকেটারদের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। তাদের মুখপাত্র হয়ে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। তিনি ক্রিকেটারদের পক্ষে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। এ সময় তার পাশে আন্দোলনরত ক্রিকেটাররা উপস্থিত থাকলেও তারা পাবলিকলি কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের মুখপাত্র বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে তারা কোন পর্যায়ে তাদের খেলা বন্ধ রাখছে। এটা তাদের রুটি-রুজির বিষয়। কারো উসকানিতে তারা কাজ করছেন না। কারো প্ররোচনায় কাজ করছে না। তারা খুব পরিণত। গত ৫-৬ বছর ধরে বিভিন্নভাবে এই দাবি-দাওয়ার কথা বোর্ডের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিছু যে পূরণ হয়নি তা নয়। কিন্তু সেটির কোনও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি নেই।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের যে বিকাশ, সে জায়গা থেকে ক্রিকেটারদের চাওয়াকে খুবই যৌক্তিক বলে দাবি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার এমন অ্যাসোসিয়েশনের উদাহরণ দেন তিনি। এজন্য ক্রিকেটারদের অ্যাসোসিয়েশন তাদের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় লীগ ও প্রিমিয়ার লীগকে আগের কাঠামোয় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগে কোনও ক্লাবে খেলবেন, কী পারিশ্রমিক নেবেন এটা ক্রিকেটাররা ঠিক করতে পারতেন।

বিপিএল, দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের বেতন বৈষম্যসহ ১৩ দফা দাবি প্রেস ব্রিফিংয়ে তুলে ধরা হয়।

এমএইচবি/এসএমএম