• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০৪:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৯:৫৭ পিএম

এসএ গেমসে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ

এসএ গেমসে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ
ফাইল ছবি

প্রথম দিনে স্বর্ণ জিতেন দিপু চাকমা। পরদিন জিতে যান আরও তিন জন। তাতে আশা নিয়ে বসেন অনেকে। দিন যায় স্বর্ণ আর আসে না। এমনভাবে কাটে তিন দিন। অবশেষে অপেক্ষা ফুরোয় চতুর্থ দিনে এসে। যার কান্না ইতিহাস হয়ে গেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। সেই মাবিয়া আক্তার সীমান্তের হাত ধরে। সেদিন আসে আরও দুই। সোনালি মেডেলের সংখ্যাটা তখন সাত। 

এরপরের পুরোটা আর্চারদের ঘিরে। এক-দুই করে স্বর্ণের সংখ্যা বাড়ে, সঙ্গে প্রতীক্ষা। জিততে জিততে দশ ইভেন্টের সবগুলোই জিতে যান বাংলাদেশের আর্চাররা। সঙ্গে সামিল হন ক্রিকেটের মেয়েরা। ব্যস, এবার সেটা হয়ে যায় ১৮। ততক্ষণে ছুঁয়ে ফেলা গেছে আমাদের সর্বোচ্চ স্বর্ণজয়ের রেকর্ড।  

আজ থেকে প্রায় এক দশক আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে জেতা গিয়েছিল ১৮ স্বর্ণ। সেটাই এখনো আমাদের সর্বোচ্চ অর্জন। দেশের বাইরে তো সেই ‘৯৫ সালের মাদ্রাজ গেমসের সাত স্বর্ণই সর্বোচ্চ। তবে কী বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যাবে ২০১০ এসএ গেমসকে? রোমান সানা যখন আর্চারিতে বাংলাদেশের পক্ষে ১৮তম স্বর্ণ জেতেন। সেই সময়ে কৃত্তিপুরে টস করছেন ক্রিকেটের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যেখানে একটা সোনা তো প্রত্যাশিত বহু আগে থেকেই। 

হলোও তাই। শ্রীলঙ্কা অনুর্ধ্ব-২৩ দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে স্বর্ণ জিতলো ছেলেরা। গড়ে ফেললো ইতিহাস। গেমস শেষের একদিন আগেই নেপালের সোনালি সুবাতাস একে একে এলো ১৯ বার। তাতে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি স্বর্ণজয়ের রেকর্ডটাও হয়ে গেল। ক্রিকেটে সোনাটা অবশ্য ছিল প্রত্যাশিত। 

জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারের ছড়াছড়িতে অনুর্ধ্ব-২৩ দলে আছেন দুই বিশ্বকাপ খেলা সৌম্যও। পুরো আসরেই বড় জয়ও পেয়েছে বাংলাদেশ। তবুও পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি ছিল না কারও। কারণ মালদ্বীপ, ভুটানের মতো দলগুলোর বিপক্ষে ঠিক দাপুটে জয়টা আসছিল না। সেই অসন্তুষ্টি পূর্ণতা পায় ফাইনালের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে। হেরে যায় বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২৩ দল।  

তবুও ফাইনালে একেবারেই শ্রীলঙ্কাকে পাত্তা দেয়নি নাজমুল শান্তরা। টস জিতে আগে ফিল্ডিং করতে নেমে শ্রীলঙ্কা অনুর্ধ্ব-২৩ দলকে১২২ রানেই বেঁধে ফেলেন হাসান মাহমুদ-সুমন খানরা।

শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল লঙ্কান ছেলেদের। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান তুলেন পাতুন নিসানকা ও ও নিসান মাদুসকা। পেসার সুমনের বলে ১৯ বলে ১৬ রান করে মাদুসকা ফেরত গেলে সেই জুটি ভাঙে। আরেক ওপেনার নিসানকা ২৪ বলে ২২ রান করে রান আউটে আউটে কাটা পড়েন। এরপর সাম্মু আসানের ২০ বলে ২৫ রান বাদে কেউই তেমন বড় সংগ্রহ গড়তে পারেননি। 

বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট পান হাসান মাসুদ। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট পান স্পিনার তানভীর ইসলাম। এছাড়া মেহেদি হাসান ও সুমন খান পান একটি করে উইকেট। শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ২০ ওভার খেললেও ১২২ রানে হয়ে যায় অলআউট। 

মাঝারি লক্ষ্যে। উদ্বোধনী জুটিতে সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার তুলেন ৪৪ রান। ২৮ বলে ২৭ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পর দলীয় ৮৩ রানে রান আউট হয়ে ফেরত যান সাইফ। তার আগে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ বলে করেন ৩২ রান। এরপর ১ চার ও ছক্কায় ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ইয়াসির আলি চৌধুরীও। বাকি কাজটা সারেন অধিনায়ক শান্ত । ২৮ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। 


এমএইচবি