• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ১০:৪৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ১০:৪৬ এএম

সান্টোকির ‘ওয়াইড-নো’ নিয়ে সিলেট পরিচালকের বিস্ফোরক মন্তব্য 

সান্টোকির ‘ওয়াইড-নো’ নিয়ে সিলেট পরিচালকের বিস্ফোরক মন্তব্য 
ক্রিশমার স্যান্টোকি দৃষ্টিকটু ‘নো’ বলটি এতই বিশাল ছিল যে দাগ থেকে তার ডান পা প্রায় এক হাত বাইরে ছিল। ফটো : সংগৃহীত

বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে সিলেট থান্ডার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের ঘটনা। ক্যারিবীয় বাঁ হাতি পেসার ক্রিশমার স্যান্টোকি দৃষ্টিকটু দুটি ‘ওয়াইড’ ও ‘নো’ বল নিয়ে রীতিমতো বিতর্কের ঝড় উঠেছে। আর এ ঘটনা নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্যই করে বসেছেন সিলেট থান্ডার্সের পরিচালক তানজিল চৌধুরী।

সিলেটের হয়ে খেলতে আসা সান্টোকির তৃতীয় বলটিও ছিল যথেষ্ট কৌতুহল জাগানিয়া। লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে হয়েছিল ওয়াইড। লম্বা ঝাঁপে বল গ্লাভসবন্দি করেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুন। 

পঞ্চম ডেলিভারিতে সেই বিশাল ‘নো বল। পঞ্চম ডেলিভারিতে এসে দিয়ে বসেন বিশাল এক ‘নো’। এতই বিশাল, দাগ থেকে তার ডান পা প্রায় এক হাত বাইরে ছিল। পঞ্চম ডেলিভারিতে এসে দিয়ে বসেন বিশাল এক ‘নো’। এতই বিশাল, দাগ থেকে তার ডান পা প্রায় এক হাত বাইরে ছিল। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, বল ডেলিভারির সময় সান্টোকির সামনের পা পড়েছে বোলিং ক্রিজের অন্তত এক হাত বাইরে! সব ক্রিকেটীয় কারণ মাথায় রাখলেও এমন ‘নো’ বল অস্বাভাবিক। 

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের টেবিলে পরিচালক তানজিল চৌধুরী সিলেট থান্ডার্সের স্পন্সর জিভানি ফুটওয়্যারের কর্তাব্যক্তিদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, এত এত খেলোয়াড় থাকতে সান্টোকি কেন? তানজিল চৌধুরীর এমন প্রশ্নে তারা রীতিমতো অস্বস্তিতেই পড়েছিলেন। সান্টোকিকে দলে নেয়া নিয়ে তানজিলের সন্দেহ বিশাল বড় হোয়াইড ও নো বল কাণ্ডে শক্ত ভিত্তি পেয়েছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এবং সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্বে থাকা মেজর (অব.) হুমায়ুন মোর্শেদের কাছে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ইতোমধ্যে তানজিল অনুরোধও জানিয়েছেন। 

প্লেয়ার্স ড্রাফটের সময়ও অন্য রকম কিছু আঁচ করতে পেরে তানজিল আগাম সে কথা লিখিত আকারেও বিসিবিকে জানিয়ে রেখেছিলেন বলেও ওই জাতীয় দৈনিকে তানজিল চৌধুরীর বরাতে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন ‘যেদিন প্লেয়ার্স ড্রাফট ছিল, সেদিনও আমাদের মধ্যে (স্পন্সরের সঙ্গে) অনেক সংঘাত হয়েছে। স্থানীয় উপদেষ্টা যিনি, সেই সারোয়ার ইমরান ও আমি কিছু জিনিস নিয়ে একমত ছিলাম না। স্পন্সররা কিছু খেলোয়াড় নেয়ার বিষয়ে জোরাজুরি করছিল। আমরা বুঝতে পারছিলাম না যে কেন তারা এ ধরনের খেলোয়াড় নিতে চাচ্ছে। নাঈম শেখের মতো খেলোয়াড়কে নেয়ার সুযোগ ছিল। অন্যান্য তারকাদেরও নেয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু সান্টোকি ধরনের খেলোয়াড় নিয়েছে। যে কারণে আমাদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এবং সেই সন্দেহের কথা আমি লিখিত আকারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এবং বিসিবি সভাপতিকেও জানিয়ে রেখেছিলাম।’

তিনি বলেন, দলের সঙ্গে যে ইন্টেগ্রিটি অফিসারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁর চালচলন এবং ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়েও আমাদের মনে প্রশ্ন আছে। ওনার নাম এ টি এম কামাল উদ্দিন সম্ভবত। ওনার ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে চাওয়ার পর উনি বলেছেন যে তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। আমি বললাম, আপনি তাহলে কীভাবে আসলেন? তখন তিনি বললেন, চার বছর ধরে উনি নাকি অ্যান্টি করাপশনে কাজ করছেন। এটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। আমি এই বিষয়টি নিয়েও বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।

২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের বিশাল একটি ‘নো’ বল ছিল স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে। সান্টোকির এই ‘নো’ বল আমিরের সেই ডেলিভারি থেকেও বড়। তার এমন বোলিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ ‘অন্য কিছুর’ গন্ধও পাচ্ছেন।  ইংলিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের প্রধান ক্রীড়া লেখক বার্নি রনি তার টুইটারে ব্যঙ্গ করে দুটো বলকেই ‘দুর্ভাগ্যজনক ওয়াইড আর নো’ বলেছেন।

এ বিষয়ে সিলেট থান্ডার্সের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমি আসলে খেয়ালই করি নাই নো বলটা। কত বড় ছিল বা কী, এ বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো। কারণ আমি সেটা ওইভাবে দেখিই নাই।

আরআইএস