২০১৫ সালে অধিকাংশ রাশিয়ান অ্যাথলেটের ডোপিং টেস্টে ইতিবাচক ফলাফল আসে। এতে রাশিয়ান অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের প্রতি সংঘবদ্ধভাবে ডোপিংয়ের অভিযোগ এনে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর সম্প্রতি রাশিয়া সরকার ৩১ পৃষ্ঠাব্যাপী একটি কর্মপরিকল্পনা দিয়েছে, যা ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক ফেডারেশন এবং ওয়ার্ল্ড অ্যান্টিডোপিং এজেন্সি গ্রহণ করেছে। এরপরেই রাশিয়াকে আবারও অলিম্পিকে ফেরানোর কথা চলছে।
অবশ্য রাশিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই অলিম্পিকে ফিরতে চাইছে। ২০১৫ সালে যখন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিলো তখন সেটি মেনে নিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রীড়ামন্ত্রী। সেই সুবাদেই রাশিয়া নিজেদের অ্যাথলেটদের এবং ব্যবস্থাপনা সাজিয়েছে সুদীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে। আর এমন পরিশ্রম ও সিদ্ধান্তের ইতিবাচক ফল আসতে পারে আসন্ন টোকিও অলিম্পিকের আগেই।
বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের সভাপতি লর্ড কো এই পরিকল্পনাকে বিশ্বাস তৈরির রোডম্যাপ হিসেবে দাবী করেছেন। তিনি বলেন, “এটি শেষ নয়, বরং একটি দীর্ঘ পথচলার শুরু। রুসাফকে (রাশিয়ান অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন) এজন্য বেশ কাজ করতে হবে” এখন পর্যন্ত রাশিয়াকে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে ফেরানোর জন্য কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক না হলেও ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন, অ্যান্টি-ডোপিং এবং অ্যাথলেটদের শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারটি শুরু হয়েছে অনেক আগেই।
রুসাফ জানিয়েছে তারা তাদের লক্ষ্যে অটল থাকবে এবং এজন্য কাজ করে যাবে। তবে সম্পূর্ণ নীতি বাস্তবায়ন করে নতুন ধরণের সংস্কৃতি করতে পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি হয়ে যাবে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস বলেছে, যারা ডোপ টেস্টে পাশ করতে পারবে, তারা টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবে। তবে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আগামী ১৭ এবং ১৮ মার্চের সভা শেষে আসতে পারে।