বিশ্বব্যাপী করোনার বিভিন্ন স্ট্রেইন পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে টিকা এখনও সকল দেশের কাছে পৌঁছায়নি। ফলে সব মিলিয়ে টোকিও অলিম্পিক আয়োজন করতে সম্মত হলেও বিদেশী দর্শকদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সকে জাপান সরকারের দুজন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা মহামারীর কারণে প্রায় এক বছর পিছিয়ে গেছে টোকিও অলিম্পিক। ২০২০ সালের বদলে চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত অলিম্পিক এবং ২৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্যারাঅলিম্পিক আয়োজন করবে জাপান। এদিকে করোনার সকল স্ট্রেইনের ব্যাপারে তথ্য এখনও সম্পূর্ণ প্রকাশিত নয়। ফলে আগামী ২৫ মার্চ মশাল নিয়ে দৌড়ে অলিম্পিকের আগমনী বার্তা দিলেও সেখানে কোনো বিদেশী দর্শক থাকবেনা।
এই ব্যাপারে বর্তমানে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের প্রধান সেবাস্টিয়ান কোয়ের সমর্থন পাচ্ছেন টোকিও অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির সভাপতি সেইকো হাশিমোতো। কোয়ের কাছে অলিম্পিকের লক্ষ্য হলো খেলোয়াড়দের জন্য সেরা পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং দর্শকদের স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা। তবে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হলে খেলোয়াড়দের এবার সেটি মেনে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ফুকোশিমায় রুদ্ধদ্বার অবস্থায় পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। করোনা ছড়িয়ে যাওা ঠেকাতে এখানে আমন্ত্রিত অতিথি এবং অংশগ্রহণকারী ছাড়া অতিরিক্ত কাউকে ভিড় করে প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা।”
পরিকল্পনা অনুযায়ী টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের বাজেটের ১২ শতাংশ অর্থ উঠে আসে টিকেট বিক্রির খাত থেকেই। এই মূল্যমান টাকার অঙ্কে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এর শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগই স্থানীয় দর্শকদের কাছে বিক্রি হয়। ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন গেমসেও বিদেশী দর্শকরা শতকরা ২০ ভাগ টিকেট কিনেছিলো। সেই সুবাদে জাপানের স্থানীয়দের শতকরা ৭৭ ভাগ মানুষ বিদেশী দর্শকদের প্রবেশাধিকার দেয়ার বিপক্ষে। এমনকি আরেক পরিসংখ্যানে শতকরা ৪৮ ভাগ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, অলিম্পিকে কোনো দর্শক থেকতে দেয়াই উচিত নয়।
এখন পর্যন্ত জাপানে চার লক্ষ ৪১ হাজার করোনা আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে মারা গেছে আট হাজার তিনশ জন। সেই সুবাদে অলিম্পিক কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্তত অলিম্পিক আয়োজন করতে চাইলে সেখানে সরকার কিংবা ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস কেউই দ্বিমত পোষণ করেনি।