• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, ১২:০০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, ১২:০০ এএম

জন্মদিনের শুভেচ্ছা

শেখ হাসিনা: একজন ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা: একজন ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট উপলক্ষে দুই দলের অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়, সৌরভ গাঙ্গুলি ও বিসিবির তৎকালীন সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বেলুব ওড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগৃহীত

রিয়াজুল ইসলাম শুভ 

বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তরুণ বয়সে ছিলেন একজন ফুটবলার, খেলেছেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স স্পোর্টিং ক্লাবে। তার দুই ছেলে শেখ কামাল ও শেখ জামাল ছিলেন সফল ক্রীড়াবিদ। ঢাকা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের (বর্তমান আবাহনী লিমিটেড) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শেখ কামাল। তার স্ত্রী শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকু ছিলেন দেশের খ্যাতনামা অ্যাথলেট। এমন ক্রীড়া পরিবারের মধ্যে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রীড়াপ্রেম থাকাটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়।

১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বড় ছেলে শেখ কামালের সঙ্গে সুলতানা কামালের বিয়ে হয়। তার আগেই শেখ হাসিনা তার মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে বলে দিয়েছিলেন বিয়ের পর যেন তার ভাইয়ের বউকে খেলাধুলার ক্ষেত্রে কোনো বাধা যেন পরিবার থেকে দেয়া না হয়। এখান থেকেই বঙ্গবন্ধু জ্যেষ্ঠ সন্তানের খেলাধুলায় উৎসাহ প্রদানের প্রথম নজির ইতিহাস ঘেটে পাওয়া যায়।

শেখ হাসিনা একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কতটা ক্রীড়াপ্রেমী, তা সর্বপ্রথম দেখা যায় ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আইসিসি ট্রফির সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর; ফাইনাল ম্যাচের আগেই তিনি রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে টাইগারদের গণসংবর্ধনার ঘোষণা দেন। ফাইনাল ম্যাচে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা জয় যেন সেই গণসংবর্ধনাকে জাতীয় উৎসবে পরিণত করেছিল, দিনটি পহেলা বৈশাখ হওয়ায় যেন তাতে বয়ে গিয়েছিল আনন্দের জোয়ার।

গণসংবর্ধনার দিন ১৪ এপ্রিল ঘড়ির কাটায় ঠিক যখন সকাল ৭টা, আইসিসি ট্রফি জয়ী দল বিমানযোগে দেশের মাটিতে পা রাখে। সেখানে তাদের বরণে নিজেই হাজির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকল খেলোয়াড়সহ কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তাদের তিনি ফুল দিয়ে সাদরে বরণ করে নেন। এরপর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সেদিনের গণসংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়া জগতে বিশ্বের বুকে সম্মান ফিরিয়ে এনেছে। একইসঙ্গে তিনি টাইগারদের তৎকালীন কোচ এবং সাবেক ক্যারিবীয়ান ক্রিকেট গ্রেট গর্ডন গ্রিনিজকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদানের কথাও দেশবাসীকে জানান।

হাজারো ব্যস্ততা সত্ত্বেও দেশের মাঠে টাইগারদের খেলা হলেই ভিভিআইপি গ্যালারির পরিচিত মুখ শেখ হাসিনা। হাতে থাকে দেশের পতাকা। লাল সবুজের সেই পতাকা নাড়িয়ে উৎসাহ দেন দামাল ছেলেদের। খেলায় দেশ ভালো করলে মুখে ফুঁটে ওঠে অনাবিল হাসি। দেশের সাফল্যে মাঠে গিয়েও অভিনন্দন জানান খেলোয়াড়দের। অনেক সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা তার সঙ্গী হন খেলার মাঠে।

গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া টাইগার যুবাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পরই তিনি কল দিয়ে আকবর বাহিনীর সবাইকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি নির্ভয়ে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেমিফাইনাল খেলতে বলেছিলেন।  প্রধানমন্ত্রীর কল পেয়ে ক্রিকেটাররা আবেগ আপ্লুত হয়ে জানান। গণমাধ্যম অধিনায়ক আকবর আলী বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবো। সেমিতে কিউইদের হারানোর পর শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ভারত বধ করে জুনিয়র টাইগারদের বিশ্ব বিজয় বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

বাংলাদেশকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ এনে দেয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল, কোচ, ম্যানেজার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেছিলেন, মুজিববর্ষের প্রাক্কালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়লাভ করায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল, কোচ, ম্যানেজার এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। এই খেলোয়াড়ি মনোভাব ধরে রেখে এভাবেই ভবিষ্যতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। 

২০১৫ বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পাশাপাশি একই বছর ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ জেতর ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে ২ কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতায় চারদিকে তখন চলছে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের মুণ্ডপাত, খবরের পত্রিকা কিংবা সাবেক ক্রিকেটারদেরা সমালোচনা, তখন ব্যতিক্রম ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মাশরাফীদের ভূয়সী প্রশংসা করে সকলকে সমালোচনা না করার অনুরোধের পাশাপাশি আগামীতে তারা ভালো করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব খেলারই ভক্ত। ফুটবলের টানে তিনি অনেকবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ছুটে গেছেন। ফুটবলারদেরও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সদস্যদের নগদ অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মেয়েরা অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। তাই সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ দলের ১০ নারী ফুটবলারকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় গেমসে বাংলাদেশ দল যাতে ভালো ফল করতে পারে, তার জন্য খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে এগিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বহরের তিনশর ওপরে খেলোয়াড়-কর্মকর্তার সঙ্গে কথাও বলেছেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের ফাঁকে হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে খেলোয়াড়েরা পেয়েছিলেন এগিয়ে চলার প্রেরণা। এসএ গেমসে পদক জয়ের জন্য নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার সবচেয়ে বড় যে মহৌষধ, সেই অর্থ পুরস্কারও এদিন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৬ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে তিন স্বর্ণজয়ী ক্রীড়াবিদ-সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা, ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত এবং শ্যুটার শাকিল আহমেদকে পুরস্কারের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে এসএ গেমসে বাংলাদেশের সেরা সাফল্যেও উচ্ছ্বাসিত দেশের সরকারপ্রধান। নেপালে পদক জয়ীদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী, দাওয়াত দেন গণভবনে। 

এসএ গেমসে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ক্রীড়া স্পৃহা জাগিয়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে যারা স্বর্ণ-রুপা-ব্রোঞ্জ জিতবে তাদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই ঘোষণা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। কোনো সরকার-প্রধান এভাবে গেমসের আগে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন বলে শোনা যায়নি।

এশিয়ান র‍্যাংকিং আর্চারিতে সোনাজয়ী রোমান সানাকে মুখে মিষ্টি তুলে দিয়ে বরণ করে নেন প্রধানমন্ত্রী। দেশকে ভবিষ্যতে যেন আরও বড় সাফল্য উপহার দিতে পারে, সে জন্য সব রকম সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া দেশসেরা এই আচারের মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৯ বিশ্বকাপে টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আটটি ম্যাচে ব্যাট হাতে ৮৬.৫৭ গড়ে করেন ৬০৬ রান, বল হাতে নেন ১১টি উইকেট। সাকিবকে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তার জবাব ছিল, ‘বড় কারণ প্রধানমন্ত্রী’। কারণ হিসেবে সাকিব মনে করিয়ে দিয়েছিলেন বহুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এক বক্তব্যকে, যা তার মাঝে জাগিয়ে দিয়েছিল বড় কিছু করার স্পৃহা। সেই বড় হওয়ার তৃষ্ণা থেকেই সাকিব চেয়েছিল ভালো কিছু করার। পরবর্তীতে বদলে যাওয়া সাকিবের ভয়ঙ্কর রূপটা দেখেছে বিশ্ব ক্রিকেটের বোলাররা।  

নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে খাবার রান্না করে পাঠিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের প্রোফাইলে এটি জানান সাকিব ও তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। যেখানে খাবারের ছবিতে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে রান্না করা পোলাও, রোস্টসহ রসগোল্লা, গুড়ের সন্দেশ, ছানা ও শীতের পিঠা পাঠিয়েছেন সাকিব দম্পতির জন্য। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে সাকিব ও শিশির দুজনই আপ্লুত হয়ে পড়েন।

কাঁধের ইনজুরিতে পড়ে ইংল্যান্ডে অপারেশন করিয়েছিলেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার আগে মুস্তাফিজকে গণভবন থেকে ফোন দিয়ে সাহস যুগিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ক্রীড়াবিদদের প্রতি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের এমন আবেগপ্রবণ হওয়াটা আসলেই বিরল। 

ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে টাইগাররা। ওই ম্যাচে আফিফ হোসেন ৫২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করান। ম্যাচ শেষে প্রধানমন্ত্রী বিসিবি সভাপতিকে ফোন করে আফিফকে আগের ম্যাচে কেন নেয়া হয়নি তা জানতে চান। ফোনে আফিফের সঙ্গে কথা বলেন। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্রয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে খুলনায় জমি উপহারের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী, ১৮ দিনের মাথায় বুঝিয়ে দেন জমির দলিল।

প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র মাঠে গিয়েই ক্ষান্ত হননি, ক্রীড়াবিদদের সুখে-দুঃখে মায়ের মতন পাশে থেকেছেন সবসময়। করোনাকালে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই ১০ কোটি টাকা স্থায়ী আমানত হিসেবে রেখে তার লভ্যাংশ থেকে অসহায় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সহায়তা করা হবে। গত ৯ জুলাই বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সভায় ১ হাজার ১৫০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে বছরব্যাপী ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা মাসে দুই হাজার টাকা করে বছরে ২৪ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর ক্রীড়াপ্রেমের কথা তুলে ধরে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম একটি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখাকালে বলেছিলেন, ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। গত দশ বছরে ক্রীড়াক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে অনেক সাফল্য ধরা দিয়েছে। আমাদের দেশের মেয়েরা ক্রিকেটে সোনা জয়ী হয়। সাকিব আল হাসানরা বিশ্বসেরা খেলোয়াড় হন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে।

একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী সব সময় ব্যস্ত থাকেন এটা সবাই জানেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত ব্যস্ততার মাঝে খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাতে ছুটে যান মাঠে। ক্রীড়াঙ্গনে দেশের মুখ উজ্জ্বল করা ক্রীড়াবিদদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আত্মবিশ্বাসের ঝুড়ি নিয়ে, নানা সময়ে অর্থ এবং ফ্ল্যাট দিয়ে করেছেন সহায়তা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় সমালোচকও ক্রীড়াক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অবদান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে পারবেন না। দেশের পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের হাসির মাঝেই হয়তো তিনি খুঁজে বেড়ান চিরতরে হারিয়ে যাওয়া নিজের দুই ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও বোনতুল্য ভাইয়ের স্ত্রী সুলতানা কামালের মুখ। নিজের স্বজন হারানোর বেদনা আজও বয়ে বেড়ানো ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ। রাষ্ট্রপ্রধান, বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পরিচয়ের পাশাপাশি ইতিহাস তাকে একজন ক্রীড়াপাগল মানুষ হিসেবেও চিরকাল মনে রাখবে। দেশের প্রতিটি সেক্টরের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনে তার মতো অভিভাবক জাতির জন্য অত্যাবশ্যক। তার ছায়াতলে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে একদিন ঠিকই বারবার উড়তে থাকবে লাল-সবুজের পতাকা, বেজে উঠবে- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।