করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যে তুমুল সমালোচনা উপেক্ষা করেই আয়োজিত হচ্ছে এবারের শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিক গেমস। তবে মহামারি ও রাজনীতির নানা আলোচনা-সমালোচনা ছাপিয়ে এবার আরেক কারণে আলোচনায় এসেছে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলিট ও কর্মকর্তাদের জন্য ফ্রিতে কনডম সরবরাহ করে আয়োজনকারীরা। তবে এবার কোভিড বিধিনিষেধের মধ্যে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটতে পারে বলেই ধরে নেয়া হয়েছিলো।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সব অংশগ্রহণকারীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কনডম সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেখানে করোনা বিধিনিষেধে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, গেমস চলাকালীন সবাইকে যথাযথ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।
বিধিনিষেধে কোলাকুলি, হ্যান্ডশেক এবং হাই-ফাইভ করতে বারণ করা হয়েছে অ্যাথলিটদের। সেইসাথে দুই মিটারের দূরত্ব বজায় রাখা তো রয়েছেই।
তবে হোটেলে চেক-ইন করার পর সাংবাদিকরা দেখতে পান, সবার কক্ষে রয়েছে রঙবেরঙয়ের র্যাপিং পেপারে মোড়ানো পাঁচটি করে কনডম। র্যাপারের ওপর আবার রয়েছে চীনা লণ্ঠনের ছবি।
গত গ্রীষ্মে আয়োজিত টোকিও গেমসেও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে কনডম বিতরণ করা হয়েছিলো। তবে সেবার সেগুলো বাড়ি ফেরার পর ব্যবহার করতেই বলা হয়েছিলো তাদের।
এইচআইভি ও এইডসের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশে ১৯৮৮ সাল থেকে অলিম্পিকে কনডম বিতরণের এই প্রথা চালু হয়।
জাগরণ/এসএসকে/কেএপি