• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২২, ০৪:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০২২, ০৪:২৯ পিএম

সাকিবের দুই প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি

সাকিবের দুই প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এবার তিনি যুক্ত হলেন স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে। আর সে কারণে তার কাছে ব্যাখ্যা চাইলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বৈধভাবে স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার আমদানি ও বিক্রির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করার কথা ২০২১ সালে জানান সাকিব আল হাসান। আর গত ২২ এপ্রিল বনানীতে ‘কিউরিয়াস’ সুইস মেড গোল্ডবার নামে নিজের স্বর্ণ ব্যবসার শোরুম উদ্বোধন করেন এ ক্রিকেটার। স্বর্ণ ব্যবসায় নামলেও সাকিবের প্রতিষ্ঠান কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে অনুমোদন নেয়নি।

সে জন্য সাকিবের দুই প্রতিষ্ঠান ‘রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি’ এবং ‘বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি’-এর কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২ (সিসিসি) অনুযায়ী, কমোডিটি এক্সচেঞ্জে নগদ বা অফসেট কমিশনের সঙ্গে যথাযথভাবে নিবন্ধিত।

‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ৮ (৪) অনুযায়ী, সদস্যভুক্ত কোনো ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোনো সিকিউরিটিজের জন্য ব্রোকার বা ডিলার হিসেবে কাজ করবে না’ উল্লেখ করে চিঠিতে কমিশনের অনুমোদন ছাড়া বা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য না হয়েও কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে ব্যবসা করার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির অবস্থান জানতে চেয়েছে কমিশন।

চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ২০২১ সালে এক বিজ্ঞাপন দিয়ে সাকিব জানান, তিনি বৈধভাবে স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালঙ্কার আমদানি এবং বিক্রির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেছেন।

ওই বিজ্ঞাপনে সাকিব বলেন, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অথবা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেশে বৈধভাবে, সঠিকভাবে ওজনের খাঁটি স্বর্ণ আমদানি করতে পারেন অথবা আমদানি করা স্বর্ণ কিনতে পারেন।

স্বর্ণের ব্যবসাকে হালাল উল্লেখ করে সাকিব বলেন, স্বর্ণ আমদানি হালাল। স্বর্ণে বিনিয়োগও হালাল। দেশের ব্যাংকিং বিনিয়োগে সুদের হার ক্রমশ নিম্নগামী, তাই হালাল ও নিরাপদ বিকল্প হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগ করে নিশ্চিন্তে থাকুন।