• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২, ০২:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৭, ২০২২, ০২:৫৫ পিএম

৩ ওভারেই ঢাকা টেস্ট জিতে সিরিজ শ্রীলঙ্কার 

৩ ওভারেই ঢাকা টেস্ট জিতে সিরিজ শ্রীলঙ্কার 

সিরিজ জিততে লঙ্কানদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৯ রান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩ ওভারেই সেটি ছাড়িয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ১০ উইকেটের এই জয়ে ১-০তে সিরিজ জিতল সফরকারীরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নামে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে খেলতে নেমেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক অপরাজিত থেকে শুরু করেন শেষদিন। আগের ইনিংসে তাদের দুর্দান্ত জুটি দলকে ম্যাচে রেখেছিল, এবারও আশা ছিল তেমন কিছুর।  

পঞ্চম দিন সকালে মুশফিক বিদায় নিলে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন সাকিব ও লিটন। ৬ষ্ঠ উইকেটে ১০৩ রানের জুটি গড়ে দলকে সামাল দেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। প্রথম সেশন শেষে লিড নিয়েই লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বিরতির পরেই খেই হারিয়েছে টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নেন লিটন। ৫২ রান করা লিটনকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন পেসার অসিথা ফার্নান্দো। তার বিদায়ে ভাঙে ১০৩ রানের জুটি।

লিটন বিদায় নিলেও অন্য প্রান্তে সাকিব টিকে থাকায় তখনও ভরসা ছিল বাংলাদেশের। তবে বাঁহাতি অলরাউন্ডারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অসিথার বাউন্সারে ৫৮ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে যায় বাকি তিন উইকেট।

মোসাদ্দেককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রমেশ মেন্ডিস। প্রথম ইনিংসে শূন্যের পর এই ইনিংসে সাত রান করেন তিনি। পরের ওভারেই পরপর দুই বলে তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদকে আউট করে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন অসিথা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ১৬৯ রান।

সবমিলিয়ে ৫১ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়া রাজিথা দুই ও রমেশ নিয়েছেন এক উইকেট।

এর আগে, বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ৩৬৫ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রান করে শ্রীলঙ্কা।


 

এসকেএইচ//