• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩, ১১:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২১, ২০২৩, ০৫:৩২ এএম

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট সিরিজ

বৃষ্টিতে দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত

বৃষ্টিতে দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত
ছবি ● সংগৃহীত

বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত ঘোষণা। বাংলাদেশের রেকর্ডময় দিনে মুশফিকের দুর্দান্ত শতকে দারুণ এক ইনিংসেরই দেখা মিলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর বোলিংয়ে নামার কথা ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু তার আগেই পড়তে শুরু করে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ।

এরআগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সে স্কোর পেরিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ল টাইগাররা।

সোমবার (২০ মার্চ) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেছে তামিম বাহিনী। এর ফলে আইশিরদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ালো ৩৫০। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে করা ৩৩৮ রান ছিল ওয়ানডে ইতিহাসে টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

বাংলাদেশেরও সংগ্রহটা এত বড় হওয়ার পেছনের নায়ক মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয়। ৩৩.২ ওভারে দলীয় ১৯০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে এ দুজন মিলে আইরিশ বোলারদের তুলোধুনো করে মাত্র ১২.৫ ওভারে তুলে নেন ১২৮ রান।

হৃদয় এক রানের জন্য ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়লেও মুশফিক বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। ৬০ বলেই সেঞ্চুরি পান মুশফিক। এর ফলে ভেঙে গেল সাকিব আল হাসানের রেকর্ড, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ৬৩ বলে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দেখেশুনে খেলতে থাকে এই দুই ব্যাটার। উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ রান সংগ্রহ করে তারা। তবে এরপর রান আউটে কাটা পড়েন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

৩১ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তামিম। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। নিজের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন দাস।

অর্ধশতক পূরণে পর আগ্রাসী হয়ে ব্যাট করতে থাকেন লিটন। তবে দলীয় ১৪৩ রানে আউট হন তিনি। ৭১ বলে ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন শান্ত।

নিজের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৯ বলে ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে দলীয় ১৮২ রানে ১৯ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব। সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়। এরপর দলীয় ১৯০ রানে ৭৭ বলে ৭৩ রান করে আউট হন শান্ত। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিক।

তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিক মিলে রানের চাকা সচল রাখেন। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৩ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন মুশফিক। অর্ধশতকের পর আরও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন মুশফিক। তবে দলীয় ৩১৮ রানে ৩৪ বলে ৪৯ রান করে আউট হন তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।

হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ইয়াসির রাব্বি। অন্যদিকে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান মুশফিক। অন্যদিকে দলীয় ৩৩৯ রানে ৭ বলে ৭ রান করে আউট হন ইয়াসির রাব্বি। তবে ইনিংসের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ৬০ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

জাগরণ/খেলা/ক্রিকেট/এসএসকে