
ওয়ানডেতে ১০ বছরে দুই দলের দেখা হয়েছে পাঁচবার। একবারও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পেয়েছে পাঁচ বছর পর। সেই জয়ে পাওয়া আত্মবশ্বাসে এখন ওয়ানডে সিরিজেও নিজেদের ফেবারিট দাবি করছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা হয়েছিল। হ্যামিল্টনে সেদিন ১১০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে অতীতের তুলনায় এবার দল ভালো অবস্থানে আছেন, এমন বিশ্বাস অধিনায়কের, ‘সেটা তো অবশ্যই (আগের দলগুলোর চেয়ে এবার ভালো)। এক হচ্ছে ঘরের মাঠে খেলা। আরেকটা হলো শেষ ম্যাচ জেতার কারণে পুরো দল ইতিবাচক হয়ে আছে। সবাই অনেক বেশি বুস্ট আপ। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় অবশ্যই নির্দিষ্ট দিন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
শনিবার মিরপুরে ম্যাচপূর্ব সংবাদস্মমেলনে বলেছেন, ‘যে ছোট ছোট ভুলগুলো আমরা করছি, যেগুলো নিয়ে কথা বলছি সবসময়। কোচিং স্টাফরা আমাদের সঙ্গে কথা বলছে। যখন আমরা অনুশীলন করি, সময় নিয়ে কথা বলে বলে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিষয়গুলো। সবসময় দেখছি জুটির একটা ঘাটতি থাকে। এ জিনিসগুলো যদি ১০-১৫ শতাংশ উন্নতি করতে পারি, ভালো ক্রিকেট হবে।’
টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ দুই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ এসেছে জয়ও। ওই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় আশাবাদী নিগার। সঙ্গে তার বিশ্বাস, ওয়ানডে ফরম্যাটে ভালো খেলেন তারা, ‘আগের পাঁচটা ম্যাচের কয়টা ম্যাচ আমরা বিশ্বকাপে খেলেছি? (সবশেষ ম্যাচটা)। এর আগে? ২০১২-১৩ সালের দিকে। সেটা বিষয় না। আমরা এই সংস্করণটা ভালো খেলি। দল হিসেবে আমরা বেশি আত্মবিশ্বাসীও থাকি। কারণ সময়টা বেশি দেখা যায়। হিসেব কষে খেলা যায়।’
কাকে ফেভারিট মনে করেন এমন প্রশ্নে জ্যোতির জবাব, ‘বাংলাদেশকে ফেবারিট মনে করি কারণ শেষ ম্যাচটা আমরা জিতেছি। ফরম্যাট বদলে যাক অথবা যাই হোক, আমি আমাদের এগিয়ে রাখব।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুব বেশি ভালো করতে পারেননি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯৫ রানের লক্ষ্যেও ৮ রানে হেরেছে। প্রথম ম্যাচে মাত্র ১১৪ রান করেছে। কিন্তু জ্যোতি মনে করেন, প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে আছেন তারা, ‘আমার কাছে মনে হয় ভারতের চেয়ে আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি। দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি দেখেন, আমার কাছে মনে হয় আমাদের ব্যাটাররা উইকেটকে ভালো বুঝতে পেরেছে। এবং সে অনুযায়ী শটস খেলেছে। এই ধরনের উইকেটে একটু সময় নিয়ে খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে সময় ওভাবে পাব না। কিন্তু ওয়ানডেতে সময় ও সুযোগ থাকবে। আমরা এভাবেই কথা বলছি ব্যাটাররা যত সময় থাকতে পারে। ওখানে থাকতে হবে এবং অবশ্যই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে।’
কোচ হাসান তিলকারত্নেও সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন, ‘যে কোনো কিছুই সম্ভব। কেন নয়? শেষ (টি-টোয়েন্টি) ম্যাচে আমাদের মেয়েরা কেমন খেলেছে, সবাই দেখেছে। হ্যাঁ আমরা সিরিজটি জিততে পারতাম। দুর্ভাগ্যবশত দ্বিতীয় ম্যাচটি শেষ করতে পারিনি। তবে তারা যেভাবে খেলছে, আমি শতভাগ নিশ্চিত যে, আমরা ইতিবাচক ফল নিয়ে আসতে পারব।’
জাগরণ/খেলা/নারীক্রিকেট/এসএসকে