• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ১২:৫১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ১২:৫১ এএম

নিউজিল্যান্ডে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতল বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতল বাংলাদেশ
ছবি ● সংগৃহীত

নেপিয়ারে টি-টোয়েন্টি জয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ফরম্যাটেই কিউইদের হারালো বাংলাদেশ। এক বছর আগে নিউজিল্যান্ডে ঐতিহাসিক টেস্ট জেতে। অধরা থাকা ওয়ানডে  ১৯ বারের চেষ্টায় তিন দিন আগে জেতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

ওয়ানডেতে শেষ জয়ের সেই মোমেন্টাম ভালোভাবেই কাজে লাগালো বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডে সফরকারীরা টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে। ১৩৫ রান তাড়া করতে গিয়ে আট বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় শান্ত বাহিনী।

নেপিয়ারে ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করে বাংলদেশ। কিন্তু এক দশমিক চার ওভারে রনি ব্যাটের কানায় বল গেলে তা চলে যায় টিম সৌদির হাতে। এরপর শান্তর ব্যাট থেকে গরগর করে রান বের হতে থাকলে তাকে থামান নিশম। ১৪ বলে ১৯ রান করে শান্ত। 

এরপর ব্যাট করতে আসেন সৌম্য সরকার। খুবই কনফিডেন্ট সৌম্য অল্প সময়েই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। কিন্তু অফ স্ট্যাম্পের ওপরে দ্রুতগতির একটি বল ঘুরিয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্প উপড়ে যায়। ১৫ বলে ২২ রানে থামে সৌম্যের ইনিংস। এর মধ্যে ছিল একটি ছক্কা ও দুটি বাউন্ডারি।

তৌহিদ হৃদয় মাঠে এসেই পেতে থাকেন রান। তবে তাকে থিতু হতে দেননি স্যাটনার। ১৮ বলে ১৯ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর আফিফ হোসেন এসেই ধরেন সাজঘরের পথ। বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের।

তবে একপাশ আগে রাখেন ওপেনার লিটন দাস। তার ধীর স্থির ব্যাটিং একটু  একটু করে বাংলাদেশকে জয়ে পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে শেষ পাওয়ার প্লেতে আগ্রাসী হন লিটন।

এদিন অলরাউন্ডারের নৈপূন্য দেখানে মেহেদী মিরাজ। ১৯ তম ওভারে তার ছয় ও চারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। লিটন অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।

কিউই বোলারদের মধ্যে সৌদি, মিলনে, নিশম, শেয়ার্স, স্যাটনার একটি করে উইকেট নেন।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ডিসেম্বর।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম  টি-টোয়েন্টি জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দিশেহারা নিউজিল্যান্ড লক্ষ্য দিলো ১৩৫

টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেই বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। দলীয় এক রানে তিন উইকেট খোয়ানোর পর ৫০ এর ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে তাদের খরচ হয় পাঁচ উইকেট। এরপর জিমি নিশম ও স্যাটনারের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশকে ১৩৫ রানের লক্ষ্য দেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

নেপিয়ারে টস দিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সিদ্ধান্ত যে সঠিক তা প্রথম থেকেই প্রমাণিত করতে থাকেন মেহেদী হাসান ও শরিফুল।

দলের সংগ্রহ যখন মাত্র এক রান তখন সাজঘরে ফেরত যান ফিল অ্যালেন, গ্লেন ফিলিপসহ তিন ব্যাটার। দলের রান যখন ২০ তখন ফেরত না ডার্লি মিচেল। এরপর দলীয় ৫০ রানে পতন হয় পঞ্চম উইকেট। তার মধ্যে চারটি উইকেটই তুলে নেন টাইগার পেসাররা।

এরপর ইনিংস মেরামতে কাজে হাত দেন জিমি নিশম ও মাইকেল স্যানটার। তবে স্যাটনার কিছুটা ধরে খেলে রান তুলে আউট হয়ে গেলেও আরেক পাশ থেকে দ্রুত রান তুলতে থাকেন নিশম। ২৯ বলে ৪৮ রান তোলা নিশমকে থামান আরেক পেসার মোস্তাফিজুর। এরপর টেল এন্ডে নিউজিল্যান্ডের খাতায় আর তেমন রান যোগ হয়নি।

ইনিংস শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান দুটি, শরিফুল তিনটি, মোস্তাফিজুর দুটি এবং তানজিম সাকিব ও রশীদ হোসেন একটি করে উইকেট নেন।

জাগরণ/খেলা/নিউজিল্যান্ডক্রিকেটটিটোয়েন্টিসিরিজ/এসএসকে/এমএ