• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২০, ০৩:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৬, ২০২০, ০৩:৫২ পিএম

কোভিড-১৯

৬ দিনে আক্রান্ত ৪৬, মৃত্যু ২ ।। আতঙ্কে হবিগঞ্জ

৬ দিনে আক্রান্ত ৪৬, মৃত্যু ২ ।। আতঙ্কে হবিগঞ্জ
সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্কে দিনপার করছেন  হবিগঞ্জবাসী। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। মাত্র ৬ দিনে ৪৬ জন রোগী শনাক্ত হওয়ায় এ আতঙ্ক আরও বেশি করে ঝাঁকিয়ে বসেছে জেলাজুড়ে। এরই মধ্যে শিশুসহ মারা গেছে দু’জন। 

হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ২১ জন, লাখাইয়ে ৬, চুনারুঘাট ৬ জন বাহুবল ৪ জন, আজমিরীগঞ্জ ৪ জন, বানিয়াচং ৩ ও মাধবপুরে ২ জন ও নারায়ণগঞ্জ থেকে লোকজন নিয়ে আসা গাড়ি চালকসহ ৪৭ জন আক্রান্ত হলেও প্রবাসী অধ্যুষিত নবীগঞ্জ ও নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, জেলার বিপুলসংখ্যক লোক ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। তারা করোনা আতঙ্কে বাড়িতে ফিরেছেন। গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলে এ জেলা থেকে পালিয়ে হবিগঞ্জে প্রবেশ করেছে বেশকিছু লোকজন। আর তাতেই গোটা হবিগঞ্জ এখন করোনা আতঙ্ক।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হবিগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। তিনি পেশায় ট্রাক চালক এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছিলেন। এরপর আর কোনও রোগী শনাক্ত না হওয়ায় অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল জেলার পরিবেশ। কিন্তু ২০ এপ্রিল ১০ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর থেকে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। মাত্র ৬ দিনে ৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর ১৪ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা ফেরত।

জেলার ৭টি উপজেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও প্রবাসী অধ্যুষিত তবে নবীগঞ্জ ও নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এখনও করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্তের খবর পাওয় যায়নি।

জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ২৫ এপ্রিল। এইদিন ম্যাজিস্ট্রেট, ডাক্তার, নার্সসহ ২১ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ছিলেন জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সদর হাসপাতালের চিকিৎসক একজন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন স্টেনোগ্রাফার, নার্স দুইজন, চালক দুইজন, প্যাথোলজি বিভাগের দুইজন, ব্রাদার দুইজন এবং দুইজন আয়া ও ঝাঁড়ুদার।

এর আগে ২০ এপ্রিল আক্রান্ত এক চিকিৎসক ও এক নার্সসহ ১০ জন, ২১ এপ্রিল একজন নার্সসহ দুইজন, ২২ এপ্রিল পাঁচজন, ২৩ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিনজন, ২৪ এপ্রিল চিকিৎসকসহ পাঁচজন। সব মিলিয়ে হবিগঞ্জে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ জন।

সচেতন মহলের অভিযোগ, জেলাতে হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। অথচ জেলাকে এখনও ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়নি। যদিও বেশ আগে স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলাটিকে সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ‘বিচ্ছিন্ন’ করে রাখা হয়েছে। তারপরও কিন্তু এরপরও জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ হাটবাজারে মানুষজন সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ভিড় করছেন। অযথাই মানুষজন বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে আসা গার্মেমেন্ট ও বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক জাগরণকে বলেন, হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগে কর্মরত তিনজনের মধ্যে দুইজন আক্রান্ত হওয়ায় করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ করবেন এখন থেকে  মাত্র একজন। 

এসএমএম

আরও পড়ুন