• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০১৯, ০১:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৮, ২০১৯, ০১:২৩ পিএম

আবারও প্রসেনজিৎকে নিয়ে গৌতম ঘোষ

আবারও প্রসেনজিৎকে নিয়ে গৌতম ঘোষ
গৌতম ঘোষ

চ ল চ্চি ত্র

.......

গৌতম ঘোষের চলচ্চিত্র মানেই— ঐতিহাসিক কাহিনিতে ভরপুর ডুবে থাকা। যেখানে কোনও বনিতা থাকে না। আড়ম্বরবর্জিত কাহিনির সরল চলনই ছবির আকর্ষণ। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে দুই বাংলায় তার চলচ্চিত্র নিয়ে রয়েছে এক ধরনের ভালো লাগা উম্মাদনা। তারই প্রমাণ ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘মনের মানুষ’, ‘শঙ্খচিল’-এর মতো তুমুল জনপ্রিয় চলচ্চিত্র।  

মনের মানুষ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে পশ্চিমবঙ্গে চলচ্চিত্রভিনেতা প্রসেনজিৎ ও বাংলাদেশের চঞ্চল চৌধুরী 

ভারতের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া চিত্রনির্মাতা গৌতম ঘোষের বাংলাদেশের সঙ্গে পথচলা শুরু ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ দিয়ে। এটি ১৬ মে, ১৯৯৩ সালে ভারতে মুক্তি পায়। এরপর ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয় ‘মনের মানুষ’। ছবিটি মুক্তি পায় ২০১০ সালে। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা প্রসেনজিৎ। চলচ্চিত্রটি ২০১০ সালে গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৪১তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সেরা চলচ্চিত্র’ এর পুরস্কার অর্জন করে।

২০১৬ সালে গৌতম ঘোষ নির্মাণ করেন ‘শঙ্খচিল’। সেখানেও নায়ক হিসেবে ছিলেন কলকাতার অন্যতম চিত্রাভিনেতা প্রসেনজিৎ। তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী কুসুম সিকদার। চলচ্চিত্রটি ২০১৬ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।

নতুন খবর হলো— একই নায়ককে নিয়ে আবারও যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন গৌতম ঘোষ। নায়িকা হিসেবে তার বিপরীতে কে থাকবেন এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকেই একজনকে বেছে নেয়া হবে প্রসেনজিতের নায়িকা। থাকবেন দুই বাংলার উজ্জ্বলকরা কয়েকটি মুখ।  

শঙ্খচিল এর একটি দৃশ্য

ভারতীয় ইংরেজি গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গৌতম ঘোষ এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ভারত-ইউরোপের একটি প্রজেক্ট নিয়ে। এটির পরপরই বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন। শুরু করবেন শুটিং।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে গৌতম ঘোষ বলেন, একটি ঐতিহাসিক ছবি বানানোর কথা ভাবছি। তার চরিত্রের মধ্যে আছে দারাশিকো, উত্তরাধিকারী মুঘোল সম্রাট শাহজাহান। যিনি আওরঙ্গজেবের হাতে নিহত হন। যিনি উচ্চ শিক্ষিত এবং নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যান যেখানে অপূর্ব এক সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরি হয়।

গৌতম ঘোষ বলেন, দারাশিকো যদি সম্রাট থাকতেন তবে আমাদের এই ভূখণ্ডের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো। 

তিনি বলেন, তার পরিচালিত নতুন হিন্দি সিনেমা ‘রাহগীর’ তৈরি হয়েছে এবং বুসানসহ একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি। এতে অভিনয় করেছেন আদিল, তিলোত্তমা ও নীরজ।

‘রাহগীর’ প্রসঙ্গে গৌতম ঘোষ বলেন, বিনাস্বার্থে এখন কেউ কিছুই করে না। সংবাদপত্র খুললেই দেখা যায় চারদিকে স্বার্থের হানাহানি। সেই জায়গা থেকেই ছবির ভাবনা।

রাহগীরের একটি দৃশ্য

‘রাহগীর’ শব্দের গুড়ার্থ হল ‘পথিক’। এই ছবির মূল বিষয় মন ছুঁয়ে যাবার মতো। যান্ত্রিক যুগে মানুষের সঙ্গে মানুষের কোনও ভালবাসার কোনও সম্পর্ক নেই। মানবিকতা আজকাল পাঠ্য বইয়ের একটা ‘সাবজেক্ট’এ পরিণত হয়েছে। এমন গুরুতর অবস্থায় এই গল্প নিয়ে এসেছে দু’জন সাধারণ মানুষের সরল কথা। তাদের মানবিকতার কথা। বর্ষাকালের অপূর্ব আবহাওয়ায় তিন আগন্তুকের পরিচয় ও তাদের যাত্রার কথা বলে এই ছবি।

রাহগীরের একটি দৃশ্য

প্রফুল্ল রায়ের একটি কাহিনির ভিত্তিতেই চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক। নাথনি, লাখপতি (আদিল হুসেন), চপটলাল (নীরজ কবি) তিনটি চরিত্রই মাটির নিগড়ে বাঁধা। তিন চরিত্রের রূপক আলাদা পরত আনে। গৌতম ঘোষের ছবিতে কোনও বনিতা নেই। এই ছবিতেও নেই কোনও বনিতা।আড়ম্বরবর্জিত কাহিনির সরল চলনই ছবির আকর্ষণ। পথ চলতে চলতে মিলে যাওয়া কিছু মানুষের কথন ‘রাহগীর’। মনে হয় যাক, কিছু ভাল মানুষ এখনও আছে।

টিএফ/এসএমএম

আরও পড়ুন