• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০৫:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০৫:৫২ পিএম

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার

জেলায় জেলায় হলগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

জেলায় জেলায় হলগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ছবি : টিভি থেকে নেয়া

‘আমি গর্বিত, আমাদের রয়েছে বিশ্বমানের শিল্পী-কলাকুশলী’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সিনেমার উন্নয়নের জন্য মফস্বল শহরের হলগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। জেলায় জেলায় হলগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিয়ে বর্তমান সময়ের সঙ্গে মিল রেখে আধুনিকায়ন করা হবে। এ জন্য সরকার সবসময় সহযোগিতা করবে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমার মাধ্যমে সামাজিক সংস্কৃতির বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে যায়। আর এই বিষয়টি মাথায় রেখে জাতির পিতা বিএফডিসি গড়ে তুলেছিলেন। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে অনেক কাজ করে গিয়েছেন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সংস্কৃতি উন্নয়নসহ দেশের বেশকিছু উন্নয়নমূলক কাজ করে এদেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু ৭৫ সালে তার এই যাত্রা থামিয়ে দেয় হানাদাররা।

চলচ্চিত্রের উন্নয়ন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সিনেমার জন্য সরকার সবসময় সহযোগিতা করবে। প্রতিটি জেলা ও মফস্বলের হল মালিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এরই মধ্যে আমরা ছয়টি যৌথ প্রযোজনার অনুমোদন দিয়েছি। সেই সঙ্গে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭, সেন্সর আইন, উপ-সংস্কৃতি অশ্লীলতা আইন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বহু প্রতিভাবান শিল্পী রয়েছেন। তারা বিশ্ব মাতাচ্ছেন তাদের উজ্জ্বল প্রতিভার মধ্য দিয়ে। আমি গর্বিত আমাদের রয়েছে বিশ্বমানের অনেক শিল্পী।

আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে শিল্পীরা তাদের কর্মের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী কাছে নিজ ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন। 

তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদের সভাপতিতে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন তথ্য সচিব আবদুল মালেক।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশী চলচ্চিত্র শিল্পীদের জন্য সর্বোচ্চ স্বীকৃতি।

২০১৭ সালে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন এ টি এম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা।

২০১৭ সালের সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’। ২০১৮ সালের সেরা ছবি ‘পুত্র’। ঢাকা অ্যাটাকে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন আরিফিন শুভ। তার সঙ্গে যৌথভাবে ২০১৭ সালের সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন শাকিব খান। হাসিবুর রেজা কল্লোল পরিচালিত ‘সত্বা’ ছবিতে অভিনয় করে পঞ্চমবারের মতো এই স্বীকৃতি পাচ্ছেন তিনি।

২০১৮ সালে ‘পুত্র’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন নায়ক ফেরদৌস। ফেরদৌসের পাশাপাশি যৌথভাবে সেরা অভিনেতা হয়েছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘জান্নাত’ ছবির জন্য পেলেন এই স্বীকৃতি।

সেরা অভিনেতাসহ মোট ২৮টি বিভাগের জন্য এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় পুরস্কার (২০১৭) 

আজীবন সম্মাননা : এটিএম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : বিশ্ব আঙ্গিনায় অমর একুশে (বাংলাদেশ টেলিভিশন)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : বদরুর আনাম সৌদ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে : শাকিব খান রানা (সত্তা), মাহবুবুর আরিফিন শুভ (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে : নুসরাত ইমরোজ তিশা (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে : মোহাম্মাদ শাহাদাৎ হোসেন (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে : সুবর্ণা মুস্তাফা (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে : জাহিদ হাসান (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে : ফজলুর রহমান বাবু (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : নাইমুর রহমান আপন (সিটকিনি)
শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার : অনন্য সামায়েল (আঁখি ও তার বন্ধুরা)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : এম ফরিদ আহমেদ হাজরা (তুমি রবে নিরবে)

শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : ইভান শাহরিয়ার সোহাগ (ধ্যাত্তেরিকি)
শ্রেষ্ঠ গায়ক : মাহফুজ আনাম জেমস (সত্তা-তোর প্রেমেতে অন্ধ)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মমতাজ (সত্তা-না জানি কোন অপরাধে)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : সেজুল হোসেন (সত্তা-না জানি কোন অপরাধে)
শ্রেষ্ঠ সুরকার : বাপ্পা মজুমদার (সত্তা-না জানি কোন অপরাধে)
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : আজাদ বুলবুল (হালদা)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : তৌকীর আহমেদ (হালদা)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : বদরুল আনাম সৌদ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : মোহাম্মাদ কালাম (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : উত্তম কুমার গুহ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : কমল চন্দ্র দাশ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : রীতা হোসেন (তুমি রবে নিরবে)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : জাভেদ মিয়া (ঢাকা অ্যাটাক)

জাতীয় পুরস্কার (২০১৮)

আজীবন সম্মাননা : আলমগীর ও প্রবীর মিত্র
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : পুত্র (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর)
শ্রেষ্ঠ স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : গল্প সংক্ষেপ (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট)

শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : রাজাধিরাজ রাজ্জাক (ফরিদুর রেজা সাগর)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : মোস্তাফিজুর রহমান মানিক (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে : ফেরদৌস আহমেদ (পুত্র), সাদিক মোহাম্মাদ সাইমন (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে : জয়া আহসান (দেবী)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে : আলীরাজ (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে : সুচরিতা (মেঘকন্যা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে : সাদেক বাচ্চু (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে : মোশাররফ করিম (কমলা রকেট), আফজাল শরীফ (পবিত্র ভালোবাসা)
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : ফাহিম মোহতাসিম লাজিম (পুত্র)
শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার : মাহমুদুর রহমান অনিন্দ্য (মাটির প্রজার দেশে)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : ইমন সাহা (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : মাসুম বাবুল (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ গায়ক : নাইমুল ইসলাম রাতুল (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা : সাবিনা ইয়াসমিন (পুত্র) ও আঁখি আলমগীর (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : কবির বকুল (নায়ক), জুলফিকার রাসেল (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সুরকার : রুনা লায়লা (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : সুদীপ্ত সাঈদ খান (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : সাইফুল ইসলাম মান্নু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : এম এম হারুন-অর-রশীদ (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : তারিক হোসেন বিদ্যুৎ (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : উত্তম কুমার গুহ (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : জেড এইচ মিন্টু (পোস্টমাস্টার ৭১)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : আজম বাবু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : সাদিয়া শবনম শান্তু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : ফরহাদ রেজা মিলন (দেবী)

এসএমএম

আরও পড়ুন