
তুচ্ছ নয় বাষ্পীয় কণাও—
শিশির গঠনে এর উপস্থিতি সদা বিদ্যমান,
যে শিশির বৃক্ষের পল্লবে, সবুজ ঘাস বা ধানের পাতায়
নরম মেজাজে দুলতে থাকে,
দিব্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা নয়নকে
স্বত্বত্যাগে দান করে হীরকখণ্ডের উজ্জ্বলতা
বা মায়ের নাকে শোভিত সোনার নোলক হিসেবে
রূপ-পিয়াসী চোখকে দেয় তৃষ্ণা বারণ আরাম।
আর অন্ধকার ছিঁড়ে ছিঁড়ে যে জোনাকি পথিককে দেয় অভয়ের বার্তা
বা তারার মিটিমিটি জ্বলতে থাকা প্রতিরূপ প্রদর্শন করে
ঘর থেকে এক মিনিটের দূরে থাকা নেবু তলে
বা ঝোপের পাশে—টেরা চোখে দেখতে নেই কোনোটাই।
ক্ষণিকের হলেও এসব থেকে পাচ্ছো পরিষেবা,
তোমার জীবন থেকে অন্যেরা কী পাচ্ছে
নিরিবিলি ঘেঁটে দেখেছো কি বিষয়টা
নাকি আসল জায়গায় ক্ষরণের খেলা, মণ মণ অনুতাপ?