• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১, ০৯:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০২১, ০৯:২৪ এএম

প্রকৃতিবন্ধু মুকিত মজুমদার বাবুর জন্মদিন আজ

প্রকৃতিবন্ধু মুকিত মজুমদার বাবুর জন্মদিন আজ
মুকিত মজুমদার বাবু। ছবি- সংগৃহীত।

প্রকৃতিবন্ধু মুকিত মজুমদার বাবু। ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ২৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে স্কুলে পড়ার সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর কলেজের পাঠ চুকিয়ে ১৯৭৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যান। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে ফেরেন ১৯৮৪ সালে। ইমপ্রেস গ্রুপের তিনি একজন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ব্যবসায়িক পরিচয় ছাপিয়ে দেশ-বিদেশে তিনি প্রকৃতিবন্ধু নামে পরিচিত।

জন্মভূমির প্রতি আজন্ম ঋণই তাঁকে করে তুলেছে প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধ। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি দূষণমুক্ত সুস্থ-সুন্দর প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরা বাংলাদেশ উপহার দেয়ার প্রত্যয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা ও অভিযোজন সম্পর্কিত গণসচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চ্যানেল আইতে ধারাবাহিক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন’। ইতোমধ্যেই দর্শকনন্দিত অনুষ্ঠানটির ৩৪৫টি পর্ব প্রচারিত হয়েছে।

মুকিত মজুমদার বাবু নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে। সম্পাদনা করছেন ‘প্রকৃতি ও জীবন’শিরোনামে জাতীয় দৈনিকে রঙিন একটি পূর্ণাঙ্গ পাক্ষিক পাতা। প্রতিবছর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর প্রকৃতিবিষয়ক গ্রন্থ। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, ‘আমার অনেক ঋণ আছে’, ‘আমার দেশ আমার প্রকৃতি’, ‘আমার রূপসী বাংলা’ ‘সবুজ আমার ভালোবাসা’, ‘স্বপ্নের প্রকৃতি’, ‘সবুজে সাজাই আমার বাংলাদেশ’ ইত্যাদি। খ্যাতিমান লেখকদের লেখা নিয়ে সম্পাদিত গ্রন্থ ‘প্রকৃতিকথা’। ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রকৃতিবার্তা’র সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি তিনি। এ ছাড়া নিয়মিত প্রামাণ্য চিত্রের পেনড্রাইভ, লিফলেট, বই, দিনপঞ্জী প্রকাশ করাসহ বিনামূল্যে তা তৃণমূল পর্যায়ে বিতরণ করছেন। বন্যপ্রাণী অবমুক্তকরণ, প্রতিবছর বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ, দেশি প্রজাতির বৃক্ষরোপণ, গোলটেবিল বৈঠক, পরিবেশ সংরক্ষণে বিভিন্ন কর্মশালা, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় গাছের পরিচিতি ফলক সংযুক্তিকরণ, পরিবেশ ও প্রকৃতিবিষয়ক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া, পরিবেশ সচেতনতামূলক স্কুল প্রোগ্রাম, প্রকৃতিপল্লী প্রতিষ্ঠা, প্রকৃতি ও জীবন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছেন। 

এছাড়া পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। প্রজাপতি পার্ক প্রতিষ্ঠা, পাখিশুমারি ও পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ, মহাবিপন্ন বড় কাইট্টা (বাটাগুর বাসকা) কাছিম প্রজনন ও সংরক্ষণ, বিপন্ন শকুন সংরক্ষণ, শিকারি পাখি গবেষণা ও সংরক্ষণ অবদান রেখে যাচ্ছে তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন’। পরিবেশ সংরক্ষণে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে নিয়মিত আয়োজন করছেন প্রকৃতি মেলা। পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন’ থেকে প্রতিবছর দেশের গবেষকদের দেয়া হচ্ছে প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক।

পরিবেশবিষয়ক বহুমাত্রিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১২’, ‘বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১৩’, ‘জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১৫’, ‘এইচএসবিসি-দি ডেইলি স্টার ক্লাইমেট এ্যাওয়ার্ড-২০১২’, ‘ঢাকা আহছানিয়া মিশন চাঁদ সুলতানা পুরস্কার-২০১৫’, ‘ফোবানা এ্যাওয়ার্ড ইউএসএ-২০১৬’, ‘বিজনেস এক্সিলেন্সি এ্যাওয়ার্ড সিঙ্গাপুর-২০১৪’, ‘পল্লীমা গ্রিন স্বর্ণপদক-২০১৭’, ‘এ ফ্রেন্ড অব নেচার-২০২১’ সহ বিভিন্ন সম্মাননা অর্জন করেছেন মুকিত মজুমদার বাবু ও তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন’।

 

জাগরণ/এসকেএইচ