• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২১, ১০:৩৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩০, ২০২১, ১০:৩৭ এএম

নিউইয়র্ক বইমেলার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন কবি আসাদ চৌধুরী

নিউইয়র্ক বইমেলার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন কবি আসাদ চৌধুরী
ছবি-সংগৃহীত।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পাঁচদিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর সংলগ্ন ম্যারিয়ট হোটেলে  ৩০তম এ বাংলা বইমেলার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন কবি আসাদ চৌধুরী। তিনি কানাডা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। মেলা উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট ও বাংলাদেশ থেকে লেখক-শিল্পীরা এবারের বই মেলায় যোগ দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

কবি আসাদ চৌধুরীর এবার সরাসরি মেলায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে দুই দেশের মধ্যে চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় আসাদ চৌধুরী এবারের মেলায় আসতে পারেননি বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। উদ্বোধনের পর যুক্তরাষ্ট্রের তিরিশ জন লেখক একে মঞ্চে উঠে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। এরপর সাংস্কৃতিক পর্বে নৃত্য পরিবেশন করেন অনুপ দাশ একাডেমী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন, সাংবাদিক হারুন হাবীব, কবি ও লেখক মিনার মনসুর, শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন, অনন্যা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী মনিরুল হক, প্রকাশক আলমগীর শিকদার লোটন, কবি ও প্রকাশক জাফর আহমেদ রাশেদ, লেখক-প্রকাশক হুমায়ূন কবীর ঢালী, প্রকাশক সাইফুর রহমান চৌধুরী, প্রকাশক জসিম উদ্দিন, টিভি উপস্থাপক ও সঙ্গীতশিল্পী নবনীতা চৌধুরী, সঙ্গীতশিল্পী পুনম প্রিয়াম প্রমুখ।

প্রতিবারের মতো এবার বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ছিল হযবরল। বিশেষ করে অনুষ্ঠান সঞ্চালনার পর্বটি মুক্তধারা বইমেলার মানের হয়নি বলে দর্শকরা জানিয়েছেন।

গত বুধবার (২৭ অক্টোবর) এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে আগত লেখক ও প্রকাশকরা তিরিশ বছর ধরে প্রবাসে ১৯৯২ সাল থেকে নিউ ইয়র্কের এই বইমেলার আয়োজনের জন্য মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে অভিনন্দন জানান। তারা এই বইমেলাকে বাঙালির প্রাণের মেলা নামে অভিহিত করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে শুরুতে ৩০তম বইমেলার আহ্বায়ক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ড. নূরুন নবী বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রবাসে বসেও বাংলাদেশের সদ্য প্রকাশিত বাংলা বই এই মেলায় পাওয়া যায়। এটা সম্ভব হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণেই। কোভিডের হুমকি সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রথমসারির ১১ জন প্রকাশক এই মেলায় অংশ নিচ্ছেন। সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কয়দিন এই মেলা বসে, নিউইয়র্ক হয়ে ওঠে প্রবাসে এক টুকরো বাংলাদেশ। ড. নবী জানান, কোভিডের কারণে গত বছর ভার্চুয়াল মেলা করতে হয়েছিল। প্রবাসী বাঙালি পাঠকদের বিপুল আগ্রহ ও উৎসাহে কারণে এ বছর সংকুচিত আকারে পাঁচ দিনের মেলা বসছে দর্শকদের অংশগ্রহণে।

 

জাগরণ/এসকেএইচ