• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০৪:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০৪:৪৬ পিএম

অসুস্থতা নিয়েই হাসপাতাল ছাড়লেন কবি হেলাল হাফিজ

অসুস্থতা নিয়েই হাসপাতাল ছাড়লেন কবি হেলাল হাফিজ
ফাইল ফটো।

দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত কবি হেলাল হাফিজ। পাশাপাশি ভুগছেন কিডনি, ডায়াবেটিস ও স্নায়ুজনিত জটিলতায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাকীত্ব আর নিঃসঙ্গতাও ভর করেছে কবিকে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বারডেম হাসপাতালেও একাকী তিন রাত থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হয়েই হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কবি হেলাল হাফিজকে গত ১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের ৮৪১ নম্বর কেবিনে ভর্তি ছিলেন। গতকাল রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কবি হেলাল হাফিজ হাসপাতাল ছাড়েন। তবে এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। 

জানা গেছে, একজন নারী পাঠক কবিকে হাসপাতালে নিয়ে এলেও তাকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করার মতো কেউ ছিল না। হাসপাতালে কবিকে সেবা দিয়েছেন কর্মরত নার্সরা। এমনকি তাদের সেবায় খুশি হয়ে কবি হাসপাতাল ছাড়ার সময় নিজের হাতে তৈরি একটি উপহারও তাদের দিয়ে গেছেন।

এসব প্রসঙ্গে কবি হেলাল হাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হাসপাতালে থাকতে আর ভালো লাগছিল না, তাই চলে এসেছি। আসার সময় চিকিৎসকরা ওষুধপত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন। শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে কবি বলেন, আমি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হইনি। আমার জন্য দোয়া করবেন।

হেলাল হাফিজ বলেন, আমার পরিবার নেই। আমি একা মানুষ। ছোটবেলায় আমার মা মারা যান। কিছুদিন পর বাবা আবার বিয়ে করেন। ২ ঘর মিলিয়ে আমরা ৪ ভাই, ৩ বোন। তারা সব সময় আমার খবর রাখে। বোনরা একটু বেশি রাখে।

এর আগে শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দেড় মাস চিকিৎসা নিয়ে হোটেলে ফেরার পর আবারও হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে পরিচিতজনরা তাকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও চিকিৎসা নিয়েছেন।

কবি হেলাল হাফিজ সাহিত্যে ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণায় হেলাল হাফিজের জন্ম।

 

এসকেএইচ//