• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০১:১৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০১:১৯ এএম

জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসবে অংশ নেবেন ২০০ শিল্পী

জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসবে অংশ নেবেন ২০০ শিল্পী
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদসহ অন্যান্যরা ● জাগরণ

জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শুক্র (২৫ নভেম্বর) ও শনিবার (২৬ নভেম্বর)।

এবারের উৎসবে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার পক্ষ থেকে দেয়া হবে গুণীজন সম্মাননা।

এবার সম্মাননা পাচ্ছেন বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম এবং কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম। দুজনেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক। 

দুই দিনের এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উৎসব উদ্বোধন ও গুণীজন সম্মাননা দেবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ 

‘এই জীবনে ব্যথা যত এইখানে সব হবে গত’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন অমিয়বাণী সামনে ধারণ করে অনুষ্ঠিত হবে ৩৩তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব।

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা ১৯৮৮ সাল থেকে রবীন্দ্রসংগীত ও নবীন শিল্পীদের বিকাশে কাজ করে আসছে। মহামারীর কারণে তিন বছর পর বরতি দিয়ে সরাসরি মঞ্চে ফিরছে এই উৎসব।

বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম (বায়ে) ও কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম

বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে আয়োজনের তথ্য তুলে ধরেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী পীযূষ বড়ুয়া। এ সময় সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে সহসভাপতি খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম, বুলা মাহমুদ, কাজল মুখার্জী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক (সাধারণ) তানজিমা তমা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক (পরিকল্পনা) সাগরিকা জামালী, অর্থ সম্পাদক কনক খান, দফতর সম্পাদক সীমা সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত জামাল মিতু এবং নির্বাহী সম্পাদক শর্মিলা চক্রবর্তী, আহমেদ শাকিল হাসমী, সাজ্জাদ হোসেন, জাফর আহমেদ ও রাবিতা সাবাহ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পীযূষ বড়ুয়া বলেন, ‘শেষবার এই উৎসব করেছি ২০১৯ সালে, মানে সরাসরি মঞ্চে। ২০২০ সালে পারিনি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর কারণে। ২১ সালে করেছি সীমিত পরিসরে অনলাইনে। ফলে এবারের উৎসবটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তপন মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮৮ সাল থেকেই এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য নবীন শিল্পীদের প্রমোট করা। সেই ধারা অব্যাহত থাকছে এবারের উৎসবেও। আমাদের সময়ে শুধু বিটিভি ছিল বা বেতার। ফলে আমরা সেখানে গাইলে পুরো বাংলাদেশ কাভার হত। এখন অসংখ্য চ্যানেল, কিন্তু শিল্পীরা আগের সেই এক্সপোজার পান না। অথচ আমরা চাই নতুনরা গাইবার সুযোগ পাক, প্রচার পাক। সেই কাজটির জন্য এমন একটি উৎসবের আসলে খুব দরকার। এমন আয়োজন হলে নতুন শিল্পীরা অনেক সাহস পান। তাই এবারও আমরা নতুন সদস্যদের তুলে ধরবো মঞ্চে। সঙ্গে আমরা পুরনোরা তো থাকবোই।’

এবারের উৎসবের সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০ জন শিল্পী একক ও দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে রয়েছেন বুলবুল ইসলাম, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, রোকাইয়া হাসিনা, অদিতি মহসিন, ড. অরূপ রতন চৌধুরী, চঞ্চল খান, লিলি ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী।

২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টায় উৎসবের উদ্বোধন ও সম্মাননা প্রদান শেষে বেলা ১১টা থেকে হবে সংগীত পরিবেশনা। এ পর্বে দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবে সুরতীর্থ, সঙ্গীতভবন, বিশ্ববীণা, বুলবুল লতিকলা একাডেমী (বাফা) ও উত্তরায়ণ। মাঝে বিরতি নিয়ে বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠানের অংশ নেবে সংস্থার শিল্পীরা।

পরদিন ২৬ নভেম্বর (শনিবার) বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।

জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সূচনা হবে উদ্বোধনীর আয়োজন। এর পর থাকবে পর পর দুইটি কোরাস। দুই দিনের অনুষ্ঠানে গানের পাশাপাশি আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশ নেবেন আশরাফুল আলম, জয়ন্ত রায়, বেলায়েত হোসেন, মাহমুদা আখতার ও রেজিওয়ালী লীনা। 

৩৩তম (ত্রয়োত্রিংশ) উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে করোনাকালে যে শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি ও সংস্কৃতজন মারা গেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি। 

এই প্রসঙ্গে তপন মাহমুদ বলেন, ‘এই মহামারি শুধু আমাদের মঞ্চটাই কেড়ে নিয়েছে তা নয়। নিয়েছে আরও অনেক তাজা প্রাণ। যারা থাকলে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো। তাই সেই মানুষগুলোকে উৎসর্গ করা হলো এই আয়োজন। আর এবারের স্লোগানের উদ্দেশ্য হলো, ‘আমরা বলতে চাই- আমাদের যত ব্যথা ও বাধা ছিলো জীবনে, তার সব অতিক্রম করবো এই উৎসবের ভেতর দিয়ে।’

অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত।

জাগরণ/সংস্কৃতি/কেএপি